জয় দিয়ে শুভ সূচনা করলেন সাকিবরা

কলকাতা নাইট রাইডার্স জয় দিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৪তম আসর শুরু করল। দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ১০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে জয় তুলে নেয়।

গতকাল রোববার রাতে চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে এসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে কলকাতা। জবাবে সম ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তোলে হায়দ্রাবাদ।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান নিতিশ রানা ও শুভমন গিল। দু’জনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে অর্ধশতকপূর্ণ করে কলকাতা। সপ্তম ওভারের শেষ বলে শুভমনকে ১৫ রানে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক-থ্রো এনে দেন রশিদ খান।

তাতেও ধমেনি কলকাতার তাণ্ডব। নতুন ব্যাটসম্যান রাহুল ত্রিপাঠিকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটে রানের চাকা এগিয়ে নিতে থাকেন রানা। দু’জনের ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পাশাপাশি এই জুটিতে কলকাতার স্কোর বোর্ডে যোগ হয় অনবদ্য ৯৩ রান। ২৯ বলে ৫৩ রান করে নটরজানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ত্রিপাঠি।

মুম্বাই কিংবা ব্যাঙ্গালোরের কাছে যে উইকেট ছিলো মন্থর গতির, সেই উইকেটকেই ব্যাটিং উইকেট বানিয়ে ঝড়ো তোলে কলকাতার ব্যাটসম্যানরা। ১৭তম ওভারে বল করতে এসে রানের গতি থামিয়ে ব্রেক থ্রো এনে দেন রশিদ খান। নিজের দ্বিতীয় বলেই বিধ্বংসী হয়ে উঠার আগেই আন্দ্রে রাসেলকে (৫) লংঅনে মনিষ পান্ডের তালুবন্দি করে সাজঘরে ফেরান রশিদ।

১৮তম ওভারে বল হাতে কলকাতার দুটি ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে কিছুটা চাপ সৃষ্টি করেন মোহাম্মদ নবী। তৃতীয় বলে ৫৫ বলে ৮০ করে বিজয় সঙ্করের তালুবন্দি করে সাজঘরে ফেরেন রানা। পরের বলে অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানকেও (২) ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার অঞ্চলে আব্দুল সামাদের তালুবন্দি করে ফেরান তিনি।

শেষের দিকে ব্যাট হাতে হায়দ্রাবাদের বোলারদের উপর ঝড় তোলেন দিনেশ কার্তিক। তার ৯ বলে ২২ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে কলকাতা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন নিতিশ রানা।

জবাবে, বড় লক্ষ্য তাড়া করতে এসে ঋদ্ধিমান সাহাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে এসে শুরুটা ভালো হয়নি হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের। প্রথম ওভারে শূন্য রানে পেট কামিন্সের হাতে জীবন পেয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। মাত্র তিন রান করেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার হন তিনি।

শুরুতে উইকেটের খোঁজে তৃতীয় ওভারে সাকিবের হাতে বল তুলে দেন মর্গ্যান। বল করতে এসে প্রথম বলেই শাহাকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া দলকে দারুণভাবে টেনে তোলেন মানিশ পান্ডে ও জনি বেয়ারস্টো। দু’জনের জুটিতে ৯২ রানের জুটি ভাঙ্গেন কামিন্স। ৩২ বলে অর্ধশতক করা বেয়ারস্টোকে ৫৫ রানে রানার তালুবন্দি করেন তিনি।

চতুর্থ উইকেটের জুটি মানিশ পান্ডের সঙ্গে লড়ে যান মোহাম্মদ নবী। দলীয় ১৩১ রানে নবীকে ফিরিয়ে ২৯ রানের জুটি ভাঙেন কৃষ্ণ। মর্গ্যানের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে ১১ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ১৮তম ওভারে শেষ বলে বিজয় সঙ্করকে ফিরিয়ে খেলার নিয়ন্ত্রণ আনেন রাসেল। শেষের দিকে আসা যাওয়ার মাঝেও লড়াই করেন দলকে জেতাতে পারেননি ৬১ রানে অপরাজিত থাকা মনিশ পান্ডে। ১০ রানে হেরে আইপিএল শুরু করল হায়দ্রাবাদ।

Scroll to Top