নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিনে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ বাংলাদেশ। যার ফলে বিশাল বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয়। টসে হেরে ৪১.৫ ওভারে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় তামিমরা।
চ্যালেঞ্জটা যে নতুন বলেই ছিল, সেটা টসের সময় দুই অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও তামিম ইকবালের কথায়ও পরিস্কার। দুজনই চাইছিলেন আগে বোলিং করতে। দ্রুত কিছু উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে শুরুতেই বিপদে ফেলতে। টস ভাগ্য ল্যাথামেরই ছিল ভালো। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক প্রত্যাশিতভাবেই বাংলাদেশকে পাঠান ব্যাটিংয়ে।
চ্যালেঞ্জটা এমনিতেই কঠিন ছিল। খেলা শুরুর এক ঘণ্টা আগে ডানেডিনের আকাশে মেঘ জমে কাজটা আরও কঠিন করে দেয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। এমন কন্ডিশনে বোল্ট যে সুইং আদায় করে নেবেনই! তামিমকে করা ইনিংসের প্রথম বলেই সেই লক্ষন দেখালেন ওয়ানডে ক্রিকেটের এক নম্বর বোলার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এসে হেনরি দেখালেন সিম মুভমেন্ট। সুইংয়ের সঙ্গে সিম যোগ হলে যে কোনো ব্যাটসম্যানের কাজটাই কঠিন হয়ে যায়। আরও কয়েক ওভার যেতে না যেতেই শুরু হলো বাড়তি বাউন্স। কিউই পেসারদের বল খুব সহজেই আঘাত করছিল তামিমদের ব্যাটের স্টিকারে।
ডানেডিনে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং ভরাডুবির জন্য এই তিনটি কারণই যথেষ্ট হলো। নিউজিল্যান্ড ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ম্যাকমিলানও বার বার এই তিন চ্যালেঞ্জের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন।
তামিম যেমন আউট হন বোল্টের বল থেকে আউটসুইং আশা করে। কিন্তু বল আসে সোজা। সৌম্য সরকার মানিয়ে নিতে পারেননি বোল্টের বাড়তি বাউন্সের সঙ্গে। লিটন দাস সুইং এড়াতে ক্রিজের অনেকটা বাইরে দাঁড়িয়ে খেলে সাফল্যও পাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনিও পথ হারান নিশামের ক্রস সিম ও বাউন্সের ফাঁদে পা দিয়ে।
কিছুক্ষণ লড়ে লিটনের মতোই পথ হারান মুশফিক। নিশামের বলে মুশফিকের কাট শট বাড়তি বাউন্সের কারণে পয়েন্টে না গিয়ে গেল গালিতে দাঁড়ানো গাপটিলের হাতে। তবে দুর্ভাগ্য মোহাম্মদ মিঠুনের। মাহমুদউল্লাহর সোজা ব্যাটের ড্রাইভে বোলার নিশাম আঙ্গুল ছুঁইয়ে রান আউট করেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা মিঠুনকে।
মেহেদী হাসান মিরাজ তো মিচেল সেন্টনারের আর্ম বলে হারান নিজের লেগ স্টাম্প। অভিষেক ম্যাচে আরেক মেহেদী ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করলেও আউটএ হন ওই ছক্কার নেশায়ই। চোখের পলকেই যেন খেই হারালো বাংলাদেশ ইনিংস।