ক্রিকেটার নাসির হোসেন মানেই যেন এক রাশ বিতর্ক। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ তকমাটি ক্রিকেটার নাসিরের সাথেই যেন বেশি যায়। বিশেষ করে নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়াতে যেন সিদ্ধহস্ত নাসির হোসেন। সেটি এতটাই যে এ নিয়ে নানা সময় বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে স্বয়ং বোর্ড প্রেসিডেন্টকেও। ভক্তরা ভেবেছিলেন কিছুদিন আগে ধুমধাম করে বিয়ের পিড়িতে বসা নাসির এবার হয়তো স্থির হবেন।
কিন্তু নাসিরের বিয়ে ঘিরে সৃষ্ট হয়েছে নতুন বিতর্ক। তামিমা সুলতানা শবনম নামের যে নারীর সাথে তার বিয়ে হয়েছে তিনি নাকি ১১ বছরের সংসার ফেলে গাঁটছড়া বেঁধেছেন এই ক্রিকেটারের সাথে। এমনকি ডিভোর্সও দেননি পূর্বের স্বামীকে। সে ঘরে রয়েছে তার ৮ বছর বয়সী এক কন্যাও।
এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছেন তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান। রাকিব হাসান জানান, এই ইস্যু নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডি করেছেন তিনি। সেই জিডির কপি হাতে পেয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস এমন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক রাকিব জানান, তার ৮ বছরের একটি মেয়ে আছে। ২০২০ সালের মার্চেও তারা পুরো পরিবার নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে থেকেছেন।
রাকিব বলেন, এখনও আমাদের ডিভোর্স হয়নি। কোনো নোটিশ ছাড়া কীভাবে আমার স্ত্রী ৮ বছরের বাচ্চাকে ফেলে অন্য একজনকে বিয়ে করলো সেটাই আমি বুঝতে পারছি না।
এদিকে, রাকিব হাসান ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের একটি ফোন রেকর্ড মিলেছে যেখানে রাকিবকে ফোন করে জিডি করার ব্যাপারটি ধামাচাপা দিতে বলেন নাসির। রাকিবের প্রশ্ন ছিল আপনি কি তামিমা সম্পর্কে সব কিছু জানেন? উত্তরে নাসির হোসেন বলেন তার সব কিছু জেনেশুনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। তার বাচ্চা আছে ,তার আগেও বয়ফ্রেন্ড ছিল সবকিছুই আমি জানি। আপনার বৌ আপনার সাথে ভালো থাকলে নিশ্চই আপনার ১১ বছরের সংসার ভেঙ্গে আমার কাছে চলে আসতো না।
হাতে আসা রাকিব হাসান ও তামিমার কাবিননামায় দেখা যায় ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। রাকিবের দাবি, গেল ১১ বছরে তার স্ত্রীর পড়াশোনা থেকে শুরু করে জব সবক্ষেত্রেই তিনি সাহায্য করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
:যমুনা নিউজ