সম্প্রতি শেষ হয় অস্ট্রেলীয়-ভারতের তৃতীয় টেস্ট। সিডনিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের শেষ দিনে আবারও বিতর্কের জন্ম দেন অজি তারকা ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ। ঋষভ পন্থের ‘গার্ড মার্ক’ মুছে দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। আর সেই বিতর্ক নিয়ে মঙ্গলবার মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি বলেন, তিনি আদৌ ঋষভের ‘গার্ড মার্ক’ মোছার চেষ্টা করেননি।
প্রত্যেক ব্যাটসম্যান ব্যাটিং শুরু করার আগে জুতোর স্পাইক দিয়ে একটা দাগ কাটেন ক্রিজে। যে দাগটা বেশিরভাগ সময় হয় লেগস্টাম্পে। কেউ, কেউ মিডলস্টাম্পের সামনেও ওই দাগ কাটেন। যাতে ব্যাটসম্যান বুঝতে পারেন, তিনি ঠিক কোথায় দাঁড়াচ্ছেন। আর ঋষভও তাই করেছিলেন। তবে চা বিরতির পরে খেলা শুরু হওয়ার সময় দেখা যায়, স্মিথ এসে বুটের স্পাইক দিয়ে ঋষভের তৈরি দাগ মুছে দিচ্ছেন। স্টাম্প ক্যামেরায় ধরা পড়ে ৪৯ নম্বর জার্সি পরা কেউ বাঁ-হাতে শ্যাডো ব্যাটিং করছেন আর তার পরেই বুটের স্পাইক দিয়ে মুছে দিচ্ছেন পন্থের ‘গার্ড মার্ক’। স্মিথের জার্সি নম্বর হল ৪৯। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো বটেই, কয়েক জন প্রাক্তন ক্রিকেটারও স্মিথের অখেলোয়াড়ি মনোভাবের দিকে আঙুল তোলেন।
এসব নিয়ে অস্ট্রেলীয় প্রচারমাধ্যমে স্মিথ জানিয়েছেন, এইভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তিনি অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন এবং আঘাত পেয়েছেন। স্মিথের মন্তব্য, ‘‘এই ব্যাপারটা আমি প্রতিটা ম্যাচেই করি। ক্রিজে শ্যাডো ব্যাটিং করার মাধ্যমে কল্পনা করার চেষ্টা করি, আমাদের বোলাররা কোথায় বল করছে। কী ভাবে আমাদের বোলারদের খেলছে ব্যাটসম্যান। তার পরে অভ্যাসবশত আমি ক্রিজে ও রকম ভাবে মার্ক করি।’’
এদিকে স্মিথের পাশে দাঁড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইনও। তিনি বলেছেন, স্মিথের এ রকম অদ্ভুত কয়েকটা অভ্যাস আছে। স্মিথকে যারা চেনে, তাঁরা এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। পেইনের কথায় ‘‘আপনারা যদি টেস্টে স্মিথকে ভাল করে লক্ষ্য করেন, তা হলে দেখবেন, প্রতি ম্যাচে এই কাজটা ও পাঁচ-ছয় বার করে থাকে।’’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘‘ক্রিজে দাঁড়িয়ে ও শ্যাডো করে চলে। আমরা সবাই জানি, স্মিথের কিছু অদ্ভুত স্বভাব আছে। যার মধ্যে একটা হল, ওই ব্যাটিং ক্রিজের মাঝে জুতো দিয়ে দাগ কাটা।’’