নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে ওয়ানডে দিয়ে অভিষেক হয় লঙ্কান স্পিন-অলরাউন্ডার আকিলা ধনঞ্জয়ার। লঙ্কান এই স্পিন-অলরাউন্ডারের স্পিনে বিপাকে পড়ে যায় ব্যাটসম্যানরা। যার কারণ তিনি অফব্রেক এবং লেগব্রেক দুই ভঙ্গিতেই বোলিং করতে পারেন। বলটি অফ ব্রেক হচ্ছে নাকি লেগ ব্রেক তা বুঝতে পারেন না ব্যাটসম্যান। এ কারণে ব্যাটসম্যানরা অনেক সময় বিভ্রান্ত হতেন। যার কারণে তার নাম দেয়া হয় রহস্যময় স্পিনার।
কিন্তু স্পিনের এই রহস্য হঠাৎ থমকে যায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার পর। বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি রয়েছে জানিয়ে আকিলা ধনঞ্জয়ার ওপর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইসিসি। এতে দেড় বছর পর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হলেন ধনঞ্জয়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি এখন আগের মতই বোলিং করতে পারবেন।
করোনার কারণে ধনঞ্জয়া আইসিসি অনুমোদিত ল্যাবে গিয়ে সরাসরি পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরে বিকল্প উপায় বের করে আইসিসি। ধনঞ্জয়ার সাম্প্রতিক বোলিং ফুটেজ দেখে আইসিসির একটি স্বাধীন প্যানেল। এরপর তার অ্যাকশন বৈধ বলে ঘোষণা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেয় সেই প্যানেল। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে আর বাধা নেই রহস্যময় স্পিনারের।
২০১৯ সালে ধনঞ্জয়ার বোলিং বিশ্লেষণ করতে আইসিসি দেখে, বল করার সময় আইসিসি নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁক নেয় ধনঞ্জয়ের কনুই । ১০ মাসের মধ্যে দুইবার এ ধরনের ইলিগ্যাল অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে ধনঞ্জয়ার বিপক্ষে। যার ফলে তাকে গত বছর আগস্টে ভারতের চেন্নাইতে পাঠানো হয়। আর সেখানে তিনি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষিত হয়। এরপর আইসিসির নিয়মানুযায়ী, তিনি ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যান।
