গত ২০০৯ সালে পাকিস্তানের করাচিতে শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। ওই হামলার পর থেকেই নিরাপত্তাজনিত কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশ পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলতে নারাজ ছিল।
এমন অবস্থায় ভীষণ চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। নিরাপত্তাজনিত দোহাই দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই যখন পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল, ঠিক তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সেখানে দল পাঠানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান।
পাকিস্তান এখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের দেশে সিরিজ খেলছে। রবিবার রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ছিল দ্বিতীয় ওয়ানডে। ম্যাচ শেষে আসন্ন আন্তর্জাতিক সফরের ভবিষ্যৎ জানতে চাইলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইংল্যান্ড থেকে একটি ক্লাব সংক্ষিপ্ত সফরে আসবে। সামনের দুই বছরে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দুটি আসর আছে।’
বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের বোর্ডের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে মানি বলেন, ‘দল পাঠানোয় আমরা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং এখন খেলতে আসা জিম্বাবুয়ের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা স্বাচ্ছন্দ্য ছিল।’
এহসান বলছেন, ‘ইংল্যান্ডকে নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী। তাদের শীর্ষস্থানীয় কয়েক জন কর্মকর্তা আসবেন। আশা করছি তারাও দল পাঠাবে।’
শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের ওপর ভয়াবহ হামলার পর গত কয়েক বছরে প্রভাবশালী ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো পাকিস্তানে তাদের দল পাঠায়নি। পাকিস্তান খুব চেষ্টা করছে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার।
২০০৯ সালে করাচিতে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের টিম বাসে যে হামলা হয়েছিল, তা ঘটেছিল হোটেল থেকে ক্রিকেটাররা স্টেডিয়াম যাওয়ার পথে। পরে ক্রিকেট এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায় সেখানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি অর্থ দিয়ে জিম্বাবুয়েকে নিয়েছে দেশটি।
পরে বাংলাদেশ কয়েকবার সেখানে খেলতে যায়। সমালোচনা উপেক্ষা করে দেশটিতে ২০১৯ সালে অনুর্ধ-১৯ এবং নারী ক্রিকেট দল পাঠায় বিসিবি। গত জানুয়ারিতে গিয়েছিল পুরুষ জাতীয় দল।