২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব গতকাল শেষ হয়ে গেছে। এখন বাকি আছে প্লে-অফ রাউন্ড। কিন্তু এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে অনেক দেশের বাদ পড়ে যাওয়া। এমন কিছু খেলোয়াড়ও আছেন যাদের পরিচয়ে তার দেশের ফুটবল পরিচিত হয়। কিন্তু বাছাইপর্বের বাধা উৎরাতে না পারায় তাদের অনেকেরই খেলা হবে না রাশিয়ার বিশ্বকাপের মূলপর্বে। এখন পর্যন্ত বাদ পড়া দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নেদারল্যান্ডস ও চিলি। বাদ পড়া দেশগুলোর খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি সেরা একাদশ তৈরি করলে কেমন হয়? চলুন দেখা যাক কতটা শক্তিশালী হয় সেটি-
গোলকিপার, জন ওবলাক : স্লোভেনিয়ার খেলোয়াড়। আরো বেশি পরিচয় আতলেতিকো মাদ্রিদের গোলকিপার। একনামে তাকে চেনেন সবাই। তিন বছরের বেশি সময় ধরে আতলেতিকোর গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন। কিন্তু দেশ ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না তার।
রাইট ব্যাক, আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এই মৌসুমে। প্রতিপক্ষদের সামলাতে খুব বেশি বেগ পেতে হয় না এই ডিফেন্ডারের। তবে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে তার দেশ ইকুয়েডর খুব বেশি ভাল অবস্থানে না থাকায় রাশিয়ার বিশ্বকাপের টিকিট পাননি।
সেন্টার ব্যাক, ভার্জিল ভ্যান ডিক : দল হিসেবে পরপর দুটি সফল বিশ্বকাপ কাটানো নেদারল্যান্ডস ভাগ্যের ফেরে খেলতে পারছে না ২০১৮ বিশ্বকাপে। ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপে তাই দর্শক হয়েই থাকতে হবে সাউদাম্পটনের এই খেলোয়াড়কে।
লেফট ব্যাক, ডেভিড আলাবা : খুব জোরে দৌড়াতে পারেন এই লেফট ব্যাক। বায়ার্ন মিউনিখের রক্ষণ সামলান দক্ষতার সাথে। তবে তার দ্রুতগতি ও দক্ষতা অস্ট্রিয়াকে তুলে দিতে পারল না বিশ্বকাপের মূল পর্বে। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে না অস্ট্রিয়া।
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, নাবি কেইটা : আফ্রিকা থেকে এবার বিশ্বকাপের টিকিট পেল না গিনি। তাই ২০১৮ এর গ্রীষ্মে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে যোগ দেয়াই হবে গিনির এই মিডফিল্ডারের সবচেয়ে বড় কাজ।
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, আরতুরো ভিদাল : বায়ার্ন মিউনিখের আক্রমণাত্মক মনোভাব ও খেলায় সবচেয়ে বেশি অবদান চিলির ভিদালের। যদিও দেশের হয়েও এই খেলোয়াড়ি স্বভাবটিই ধরে রাখেন, ব্রাজিলের কাছে হেরে শেষ গেছে তার বিশ্বকাপ স্বপ্ন।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক : মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তিনি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের প্রধান খেলোয়াড়দের একজন। তবে ত্রিনিদাদের কাছে হেরে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ এবার মিস করলেন পুলিসিক।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, আরিয়েন রোবেন : এই তালিকায় সবচেয়ে অভাগা খেলোয়াড়দের একজন রোবেন। কিংবদন্তি। শেষ দুটি বিশ্বকাপই মাতিয়েছেন দুর্দমনীয় গতি ও আক্রমণ দক্ষতা প্রদর্শন করে। এবার বাছাইপর্ব থেকেই বাদ পড়েছে রোবেনের দল ২০১০ বিশ্বকাপের রানার্স আপ হল্যান্ড।
স্ট্রাইকার, গ্যারেথ বেল : ইউরো তে হেরেছেন সেমি ফাইনালে। বিশ্বকাপও শেষ বাছাই পর্বে। দুর্ভাগা গ্যারেথ বেল ইনজুরির কারণে যে দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি, সেই ম্যাচ দুটি হেরেই বিদায় হল তার দেশ ওয়েলসের।
স্ট্রাইকার, পিয়ের এমরিক অবমেয়াং : ডর্টমুন্ড ক্লাব সতীর্থ পুলিসিকের মতই ভাগ্য অবমেয়াং এর। ছোট দেশ গ্যাবন এর বড় এই তারকা দেশকে নিয়ে যেতে পারেননি বিশ্বকাপের মূলপর্বে।
স্ট্রাইকার, আলেক্সিস সানচেজ : ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল নির্ভর করে থাকে সানচেজের উপর। প্রতিদানও দেন তিনি। তবে শেষপর্যন্ত দেশ চিলিকে নির্ভার করে নিতে পারলেন না রাশিয়া বিশ্বকাপের মঞ্চে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ১২ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম