ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নিজেদের দখলে নিল স্টিভেন স্মিথের রাজস্থান রয়্যালস। ১৬ থেকে ১৯, চার ওভারে ৮২,মাত্র ৯ বলে ৭ ছক্কা! এই চার ওভারে যেন সাইক্লোন গেছে প্রীতি জিনতার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ওপর দিয়ে। এমন ঝড় তুলেজয়ের নায়ক রাহুল তেওয়াতিয়া। রাহুল তেওয়াতিয়ার ছক্কা বৃষ্টির রোমাঞ্চে রাজস্থান রয়্যালস তিন বল হাতে রেখে চার উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
গতকাল রাতে মরু শহর দুবাইয়ের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইপএলের নবম ম্যাচে মুখোমুখি হয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও রাজস্থান রয়্যালস। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সেঞ্চুরি (১০৬) ও অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের হাফ-সেঞ্চুরিতে (৬৯) ২২৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। কিন্তু এই রানকেও অনিরাপদ বানিয়ে রাজস্থান রয়্যালস তিন বল হাতে রেখে চার উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই জস বাটলারের উইকেট হারালেও দ্রুত ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নেন সঞ্জু স্যামসন ও স্মিথ। নবম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৫০ রান নিয়ে যখন স্মিথ সাজঘরে ফিরছেন তখন দলের রান ১০০। এরপর ক্রিজে আসেন রাহুল তেওয়াতিয়া।
৪২ বলে ৭ ছয় ও ৪টি চারের মারে ৮৫ রান করে স্যামসন ফিরে গেলেও তেওয়াতিয়া ম্যাচ জয়ের ভিত গড়েই সাজঘরে ফেরেন। ১৯ বলে ৮ রান করা তেওয়াতিয়া শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৫৩ করেন। পাঞ্জাবের কটরেলের ৬ বলে হাঁকান পাঁচটি ছয়। এর পরের ওভারেই ক্রিজে এসে পরপর দুটি ছয় হাঁকান জোফরা আর্চার। তেওয়াতিয়া-আর্চার দুজন মিলে ১৬ থেকে ১৯ এর মধ্যে চার ওভারে নেন ৮২ রান। হাঁকান পরপর দুই ওভারে ৯ বলে ৭টি ছয়।
পাঞ্জাবের দুই প্রধান বোলার শেলডন কটরেল চার ওভারে ৫৩ ও মোহাম্মদ শামি দেন চার ওভারে ৫২ রান। এ দুজনের ৮ ওভার থেকেই আসে ১০৫ রান! শেষ পর্যন্ত ২২৩ রানের বিশাল সংগ্রহ করেও হারের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পাঞ্জাবকে।