জীবনের প্রথম উপার্জনের অনুভূতিই আলাদা প্রত্যেকের ওই চাওয়া এই আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া। সবার জন্য মিষ্টি, বাবা-মায়ের জন্য জামাকাপড়, ভাই-বোনের জন্য উপহার আর বন্ধুদের ট্রিট দেওয়া- এটাই তো অধিকাংশ মানুষের প্রথম উপার্জন উদযাপনের বর্ননা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো বড় তারকাও একদিন প্রথম বড় উপার্জন করেছিলেন। সেই বিশেষ মুহূর্তে কি করেছিলেন তিনি?
এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রীড়াবিদ হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার বিলাসী জীবন দেখে বোঝা যায়, টাকা-পয়সা তার পেছনে ছোটে। বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ফুটবলারদের একজন রোনালদোর প্রথম জীবন এরকম ছিল না।
রোনালদোর আজকের এই অবস্থানের পেছনে তার মা মারিয়া ডলোরেস আভেইরোর অনেক ত্যাগের গল্প আছে। মাকে তাই ভীষণ ভালোবাসেন সিআরসেভেন। জীবনের বড় উপার্জনের টাকাটা পেয়েই মাকে দিয়েছেন সারপ্রাইজ।
ছেলেকে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কঠোর পরিশ্রম করতেন ডলোরেস। স্পোর্টিং লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসার পর প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েই মাকে তার কাজ থেকে বিশ্রামে পাঠিয়ে দেন রোনালদো। মা তো ছেলের জন্য অনেক করেছেন, তখন থেকেই মায়ের প্রতি নিজের দায়িত্ববোধের সাক্ষর রাখেন রোনালদো। আজকের ফুটবল মহাতারকা ছেলেকে দেখে মা ডলোরেস নিশ্চয়ই তার পরিশ্রমকে সার্থক মনে করেন।