ভারত-চীনের মাঝে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে চলছে চরম রেষারেষি। গত জুন মাসের ১৫ তারিখে লাদাখের গালোয়ান ভ্যালিতে ইন্দো-চিন সেনাদের মুষ্টিযুদ্ধে ২০ ভারতীয় সেনাসদস্যের মৃত্যুর পর এমন অবস্থা চলছে। সীমান্তে অনেকটাই যুদ্ধ পরিস্থিতি। অর্থনৈতিকভাবেও চীনকে পাল্টা আঘাত দিতে চায় ভারত। যে কারণে ইতোমধ্যেই ৫৯টি চীনা অ্যাপস বাতিল করা হয়েছে। তবে চীনা কম্পানির স্পনসর ছাড়বে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
চীনের সঙ্গে ওই হাতাহাতির পর দাবি উঠেছিল, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও চীনা কম্পানি ভিভোর স্পনসর বাতিল করুক। তবে আপাতত এই পথে হাঁটছে না ভারতীয় বোর্ড। বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, \’টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা এখনো কিছু জানি না। বোর্ডের মিটিং ডেকে কি লাভ? আমরা হয়তো স্পনসরদের নিয়ে আলোচনা করতে পারি। তবে সেখানে চুক্তি বাতিল কিংবা বিচ্ছেদ এমন শব্দ ব্যবহার করব না।\’
সেই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, \’আমরা স্পন্সরদের সঙ্গে চুক্তির বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে দেখব। পর্যালোচনার অর্থ চুক্তির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা। যদি ভিভোর একজিট ক্লজ ওদের সাহায্য করে তাহলে আমরা কেন বার্ষিক ৪০০ কোটি রুপির চুক্তি বাতিল করব? আমরা তখনই বিচ্ছেদের পথে হাঁটব যখন পরিস্থিতি আমাদের জন্য অনুকূল।\’
জানা গেছে, ভিভো যদি নিজে থেকে চুক্তি বাতিল না করে তাহলে বিসিসিআইও চুক্তি বাতিল করবে না। এই চুক্তি ২০২২ পর্যন্ত চলবেই। কারণ হঠাৎ চুক্তি বাতিল করলে বিসিসিআইকে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। পাশাপাশি করোনার কারণে প্রতিকুল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিসিসিআই যে স্বল্পমেয়াদি ভিত্তিতে বড় অঙ্কের কোনো স্পনসর পাবে, সেটা নিশ্চিত নয়। যে কারণে স্পনসর বাতিল নিয়ে কোনো সভা করার সম্ভাবনা নেই বিসিসিআইয়ের।