ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি শুধু ব্যাটিং নয়, ফিটনেসের দিক দিয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ইনজুরি বলে কোনো শব্দ যেন তার ডিকশনারিতে নেই। শরীর ফিট রাখতে একেবারে নিরামিশাষী হয়ে গেছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের সবেচয়ে সফল ব্যাটসম্যানটির নাম তামিম ইকবাল। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩ হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক রানের পাশাপাশি সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিকও তিনি। তবে অনেক পরে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ফিটনেসের গুরুত্ব কতটুকু। সেই উপলব্ধিও হয়েছে কোহলিকে দেখে।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের সঙ্গে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তামিম বলেছেন, \’বলতে কোনো দ্বিধা নেই যে, আমার মনে হয় এটা সবার জানা উচিৎ, ২-৩ বছর আগেও আমি যখন দেখেছি বিরাট কোহলি জিমে কাজ করছে, রানিং ও ফিটনেসের অন্য কাজ করছে, তখন নিজেই লজ্জা পেতাম।
নিজেকে নিয়ে লজ্জায় পড়ে যেতাম আর ভাবতাম এই ছেলেটা সম্ভবত আমারই বয়সী, কতো কাজ করছে ফিটনেস নিয়ে! অনেক ট্রেনিং করছে, সাফল্য পাচ্ছে আর আমি হয়তো তার অর্ধেক কাজও করছি না। তার পর্যায়ে যেতে না পারলেও তার পথ অনুসরণ করতে তো কোনো সমস্যা নেই। চেষ্টা তো করতে পারি। হয়তো তার ৫০ ভাগ, ৩০-৪০ বা ৬০ ভাগ, যেটাই হোক তার কাছাকাছি তো যেতে পারব।\’
সেই উপলব্ধির পর ফিটনেস নিয়ে আরও সচেতন হয়ে ওঠেন তামিম। যার সুফল তিনি এখন পাচ্ছেন। ৩১ বছর বয়সী বাংলাদেশি ওপেনার বলেন, \’২০১৫ সালের পর থেকে যদি আপনি এখন পযর্ন্ত আমাকে দেখেন, আমার ওজন ৯ কেজি কমেছে। সেই সময় থেকেই ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করা শুরু করেছি আমি। আমাদের ট্রেইনারকেও কৃতিত্ব দেব। ফিটনেস ভালো থাকলে সেটার সুবিধা অনেক বেশি। ক্লান্তি অনুভব হয় কম। দ্রুত বলের কাছে যাওয়া যায় এবং মানসিকভাবেও ইতিবাচক থাকা যায়। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, নিজেকে নিয়ে ভালো অনুভূতি কাজ করে সবসময়।\’
বাংলাদেশ দলে ফিটনেসের সবচেয়ে বড় উদাহরণ মুশফিকুর রহিম। যিনি আবার তামিমের কাছের বন্ধু। মুশির উদাহরণ টেনে তামিম বলেন, \’আমাদের দলেও কিন্তু দারুণ একজন উদাহরণ আছে, সে হলো মুশফিকুর রহিম। তার ক্রিকেটীয় বিষয়ের দিকে আমি যাব না। কিন্তু ফিটনেসের দিক থেকে সে নিজেকে নিয়ে যেভাবে কাজ করে, সেটাই বলছি। তাকে অনুসরণ করা যায়, বিরাট কোহলিও অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। মুশফিকও বাংলাদেশ দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটারের আদর্শ হতে পারে।\’