করোনার মহামারীতে থমকে গেছে পুরো ক্রীড়া বিশ্বই। যার ফলে বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়া অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আশঙ্কা জেগেছে। যদিও শত ঝামেলার পরও আসরটি আয়োজন করতে চায় স্বাগতিকরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী রিচার্ড কোলবেক কঠিন বাস্তবতার কথা মনে করিয়ে জানান, বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তবে এ ক্ষেত্রে ফাঁকা স্টেডিয়াম বিবেচনায় আনতে হতে পারে।
কোভিড-১৯ এর কারণে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর কবে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে বিশ্বকাপ যে আস্তে আস্তে কড়া নাড়ছে। আর প্রায় কাছাকাছি সময় বিশ্বকাপ ও ভারত ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফর থাকায় বড় ধরনের লোকশানের আশঙ্কা করছে ক্যাঙ্গারুর দেশ। ধারণা করা হচ্ছে শুধু ভারত সফর বাতিল হলেই ৩০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ক্ষতি হতে পারে স্বাগতিকদের।
এক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোলবেক বলেন, ‘আমি আসছে গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়া-ভারত টেস্ট সিরিজ দেখতে চাইবো এবং আমি অবশ্যই বিশ্বকাপ দেখার জন্য আশাবাদী হয়ে আছি। দলগুলো নিয়ে খুব একটা সমস্যা নেই। তবে দর্শকের ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সম্ভবত বিশ্ব ক্রিকেট এমন কিছু দেখতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির ব্যাপারে বুঝি। তবে আমি মনে করি ম্যাচে ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যদি টুর্নামেন্ট এগিয়ে নিতে হয় তবে পূর্ণ কোয়ারেন্টিন ও নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’
আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা রয়েছে । যেখানে অক্টোবরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মাঠে গড়ানোর সূচি রয়েছে। আর ডিসেম্বরে দুদলের টেস্ট সিরিজ রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি আইসিসি ১৬ দল নিয়েই বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে জানিয়েছে। তবে পূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য আগামী আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।