স্বদেশী ক্লাব সান্তোসেই বিস্ফোরক ঘটেছিল নেইমারের। দারুণ সব কারিকুরি প্রদর্শন করে হয়ে উঠেন কিংবদন্তি পেলের সাবেক ক্লাবের মধ্যমণি। সেখান থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। ছুটে আসে ইউরোপের ক্লাবগুলো। তাকে পেতে হন্যে হয়ে উঠে বিশ্বের সেরা সেরা ক্লাবগুলো।
সাফল্য পায় বার্সেলোনা। যদিওবা সেই সময় থেকেই নেইমারের স্বপ্নে বাসা বেঁধেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। আসলে ফুটবল ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, রিয়াল থেকে বার্সায় কিংবা বার্সা থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গল্প নেই খুব বেশি।
তবে নেইমার বলে কথা। মাদ্রিদে না গেলেও ন্যু ক্যাম্প ছেড়েছেন ঠিকই। গোটা ফুটবল বিশ্বকে অবাক করে। দলবদলের ইতিহাসকে নতুনভাবে গড়ে! ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে নতুন করে ঠিকানা গড়েন ব্রাজিলের এই পোস্টারবয়।
তারপরই প্রশ্ন উঠে টাকার! অর্থের কারণেই বার্সেলোনা ছেড়েছেন নেইমার। হারান মেসি-ইনিয়েস্তাদের মতো ক্ল্যাসিক সতীর্থদের। যদিওবা নেইমার অর্থের প্রসঙ্গটাকে উড়িয়ে দেন। বরং সাধারণ মানুষের এমন ধারণায় বিব্রতবোধ উপলবিদ্ধর কথা জানান তিনি।
তবে এবার অর্থের জন্য নেইমার যা করলেন তা অনেকেরই ভাবনার বাইরে! ২৬ মিলিয়ন লয়ালিটি বোনাস (আনুগত্য কিংবা কর্তব্য পালনের জন্য প্রাপ্ত বোনাস) না পেয়ে তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনাকে ইউরোপের ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেই বরখাস্ত করার জন্য ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার কাছে আবেদন করেন। হ্যাঁ, স্প্যানিশ গণমাধ্যমেই এমন খবর প্রকাশ করেছে।
যদিওবা স্প্যানিশ আউটলেট ‘এএস’ দ্রুতই জানিয়েছে যে, নেইমারের এমন অনুরোধ প্রত্যাখান করেছে উয়েফা।
মাঠের পারফরম্যান্সে যেমন তেমনি ব্যক্তিগত জীবনেও নেইমারকে খুব চতুর মনে করেন অনেক ফুটবলবোদ্ধাই। কেননা সান্তোসের পর বার্সেলোনায় মেসি-সুয়ারেজ-ইনিয়েস্তাদের সঙ্গে নিজেকে দারুণভাবে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বর্তমান বিশ্বে এক ফুটবলার আরেক ফুটবলারকে আড় চোখে দেখেন। আর একই পজিশনে হলে তো কথাই নেই। অথচ, নেইমার মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক গড়ে তুলেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা সতীর্থদের কাছে এতোটাই আপন হয়ে উঠেছিলেন যে, ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার সময় মেসি-পিকেও নেইমারকে বার্সায় রাখার সব চেষ্টা করেছিলেন।
তবে অনেকেই মনে করেন, নেইমারের লক্ষ্য ছিল মেসির ছায়া এড়ানোর। পিএসজির সূচনাতে অবশ্য তার কিছুটা ইঙ্গিতও দিয়েছেন। মৌসুমের প্রথম আট ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালেও সমান আটবার বল জড়িয়েছেন তিনি। মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তিনের তালিকাতেও। আর ড্রিবলিংয়ে? ইতোমধ্যেই সাবেক বন্ধু মেসিকে ছাড়িয়ে গেছেন পিএসজির এই ব্রাজিলিয়ান।
সূত্র: মেইল অনলাইন
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, ০৮ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল