ক্রিকেট ইতিহাসে অসংখ্য ম্যাচের ফল হয়েছে বৃষ্টি আইনের মাধ্যম। সেই বিখ্যাত ডার্ক লুইস পদ্ধতি বা বৃষ্টি আইনের উদ্ভাবক টনি লুইস ৭৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
১৯৯৭ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য সতীর্থ গণিতবিদ ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থকে নিয়ে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি বের করেন টনি লুইস। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ক্রিকেট ম্যাচে যারা পরে ব্যাটিং করবে তাঁদের লক্ষ্য কত হতে পারে সেটিই বের করা হয় এই তাঁদের উদ্ভাবিত ফর্মুলা দিয়ে। ১৯৯৯ সালে আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-এল পদ্ধতি গ্রহণ করে। ১৫ বছর পর ২০১৪ সালে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির নাম পরিবর্তন করে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন বা ডিএলএস পদ্ধতি রাখা হয়। অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক স্টিভেন স্টার্ন মূল পদ্ধতির হিসাব হালনাগাদ করায় এই পরিবর্তন আনা হয়।
প্রাথমিকভাবে,১৯৯৭ সালে এই পদ্ধতিটি ব্যবহারের উন্মুক্ত হিসেবে ঘোষণা দেন টনি ও ফ্র্যাঙ্ক। প্রায় দুই বছর পরীক্ষামূলকভাবে দেখার পর ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড গ্রহণ করে আইসিসি। ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি সর্বপ্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই নিয়মের ব্যবহার হয়েছিল। বৃষ্টি নামার আগে ১৩ বলে ২২ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃষ্টি থেকে যাওয়ার পর হিসাব এলো ১ বলে ২১ রানের (ইলেকট্রনিক স্কোর কার্ড ভুল করে ১ বলে ২২ রান দেখাচ্ছিল)।
ডাকওয়ার্থের ভাষ্যমতে ওই ম্যাচটি তাঁদের নতুন পদ্ধতি বের করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল, ‘আমার মনে আছে ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনেকিন্সকে রেডিওতে বলছিলেন ‘‘নিশ্চয় কেউ কোথাও বসে এর চেয়ে ভালো কিছু বের করবে’’। এরপরই আমার মনে হলো এই গাণিতিক সমস্যার একটি গাণিতিক সমাধানই দরকার।’ তাঁদের হিসাব প্রথম কোনো ম্যাচে ব্যবহার করা হয়ে ১৯৯৭ সালের নববর্ষের দিনে। জিম্বাবুয়েকে ২০০ রানে অলআউট করা ইংল্যান্ড ৪২ ওভারে লক্ষ্য পেয়েছিল ১৮৬ রানের। ম্যাচটি ইংলিশরা হারে ৭ রানে।
ক্রিকেট ও গণিতে অবদান রাখায় ২০১০ সালে ডাকওয়ার্থ ও লুইসকে এমবিই পদবি দেওয়া হয়।