প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এভাবে টেস্ট হার অবশ্য নতুন কিছু নয় পাকিস্তানের জন্য। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে এ নিয়ে টানা ১৩ টেস্টে হেরেছে তারা। এর মাঝে তিনটিই ইনিংস ব্যবধানে। ফলে আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া অ্যাডিলেড টেস্ট এমনিতেই বড় এক পরীক্ষা ছিল পাকিস্তানের জন্য। সেটাকে আরও কঠিন করে তুলছে বলের রং। অ্যাডিলেডে কাল শুরু হতে যাওয়া টেস্টটি দিবারাত্রির টেস্ট। গোলাপি বলে ঘরের মাঠে টানা ৫টি টেস্ট জেতা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ হার এড়ানোর লড়াইয়ে নামতে হবে পাকিস্তানকে।
কঠিন পরীক্ষা পার করতে দলে বড় এক ওলট পালট আনার চিন্তা করছে পাকিস্তান। একাদশে তিন পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে তারা। গত ম্যাচে চমক জাগানো নাসিম শাহকে কাল বিশ্রাম দেবে পাকিস্তান। আরেক পেসার ইমরান খানও থাকছেন না দলে। আর টেস্টে বাজে ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ইমাম-উল-হকও কাল একটা সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম।
প্রথম টেস্টে মিচেল স্টার্কের বলে নাকানি-চুবানি খাওয়া হারিস সোহেলের বদলে দলে ঢুকতে পারেন ইমাম। সে ক্ষেত্রে অধিনায়ক আজহার আলী নেমে আসবেন হ্যারিসের তিন নম্বরে। আর ইনিংস উদ্বোধন করবেন ইমাম। ১০ টেস্টে ২৮.৪১ গড়ের ইমাম গোলাপি বলের প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘১৫ জনের স্কোয়াডে থাকলে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতেই হবে, যখনই সুযোগ আসুক। আমি নেটে কঠোর অনুশীলন করছি এবং টেস্টের জন্যই এভাবেই প্রস্তুত হতে হয়।’
ওদিকে প্রথম টেস্টে মাত্র ১ উইকেট পাওয়া মোহাম্মদ ইমরান খানের বদলে সুযোগ পাওয়ার কথা মোহাম্মদ আব্বাসের। লাইন লেংথের ওপর দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে আব্বাসকে খেলা এমনিতেই কঠিন। গোলাপি বলে তাই আব্বাসের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেই উল্লসিত ইমাম,‘ মোহাম্মদ আব্বাস সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। এবং ওর মান অন্য উচ্চতার। ওর পারফরম্যান্স আর পরিসংখ্যান সেটাই বলে। বল পিচ করার পর ওকে পড়া কঠিন। কারণ ওর বল প্রায়ই লাফ দেয়, বিশেষ করে নতুন বলে। কৃত্রিম আলোয় গোলাপি বলে আব্বাসকে খেলা কঠিন হবে।’
পারফরম্যান্সের কারণে হারিস ও ইমরান বাদ পড়লেও নাসিমের একাদশে সুযোগ না পাওয়ার কারণ ভিন্ন। বয়স নিয়ে এখনো বিতর্ক থাকলেও দাবিকৃত ১৬ বছরের এক কিশোরকে এক টেস্টে ২০ ওভার করানো হয়েছে। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে টানা বল করায় এর বেশি বল করানো যায়নি। ফলে বাকি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ৩৪ ওভার করতে হয়েছে। ফলে আগামীকাল নাসিমকে বিশ্রাম দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁর বদলে আরেক কিশোর পেসারকে সুযোগ দেওয়া হবে। ১৯ বছরের মুসা খানের গতি নাসিমের মতো না হলেও গড়পড়তার চেয়ে বেশি।