ঘটনার ঘনঘটা কখনো মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, কখনো গুলশানে। এভাবেই দিনভর ছোটাছুটি করতে হলো সাংবাদিকদের। আগের দিন বিসিবি সভাপতির বক্তব্যে ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়া কী, তাঁরা কি ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন? কত দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে, ভারত সফরের কী হবে, নানা জল্পনা-কল্পনা। কখনো মনে হয়েছে সমস্যার সমাধান আজই। কখনো আবার মনে হয়েছে আরেকটু দীর্ঘ হবে না তো? দীর্ঘ হয়নি। ক্রিকেট নিয়ে সব সংশয় দূর হয়েছে অবশেষে। কীভাবে সমস্যার সমাধান হলো, ধর্মঘট প্রত্যাহার হলো, পুরো দিনের চিত্র থাকল এখানে—
বেলা ১১টা:
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী জানালেন, খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তাঁদের। আশা করছেন কিছু একটা হবে।
দুপুর ১২টা:
নিজামউদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বললেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী বললেন, \’তামিম ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে আমাদের।…সব কিছুই আর্থিক ব্যাপার, বসলেই হয়তো বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি হবে।\’
দুপুর ২টা:
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও পরিচালক নাঈমুর রহমান যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে।
বিকেল ৩টা ৩০:
গণভবন থেকে বিসিবি কার্যালয়ে আসেন নাজমুল ও কয়েকজন পরিচালক।
বিকেল ৩টা ৪০:
বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের মাধ্যমে সাকিবদের বসার আহবান জানালেন, \’বিসিবি সভাপতি আছেন, এখন আমরা আলাপ-আলোচনা করতে পারি। এটার জন্য অপেক্ষা করছি।\’
বিকেল ৪টা:
জানা গেল নিজেদের মধ্যে আলোচনা সারতে গুলশানের কোনো একটি হোটেলে বসেছেন ক্রিকেটাররা।
বিকেল ৫টা:
ক্রিকেটাররা সংবাদ সম্মেলন ডাকেন গুলশানের \’সিক্স সিজন\’ হোটেলে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা:
খেলোয়াড়দের হয়ে নতুন দুটি যোগ করে মোট ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
রাত ৮টা:
সাকিব আল হাসান জানান, তাঁরা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে বিসিবি কার্যালয়ে যাচ্ছেন।
রাত ৯টা:
বিসিবি কার্যালয়ে এলেন ক্রিকেটাররা।
রাত ১০টা ৫০ মিনিট:
প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিসিবি সভাপতি জানালেন, বেশিরভাগ দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। নতুন দুটি দাবি হুট করে আসায় সিদ্ধান্ত নেতে পারিনি। সাকিব জানালেন, দ্রুত দাবি পূরণের তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে তাঁরা খেলায় ফিরছেন।