ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ডাকার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলনে ষড়যন্ত্রের কথা বললেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। কিছুদিন পর সব প্রকাশ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাঠে চলছে জাতীয় লিগ। জাতীয় দল ভারত সফরে যাবে আগামী মাসে। তার আগে হুট করে দেশের ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ডাকাকে ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। কাল দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ডাকার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘এটা একটা ষড়যন্ত্রের অংশ।’
সংবাদ সম্মেলনে বেশ উত্তেজিত কণ্ঠেই বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। ওরা এখন চায় ভারত সফরে যদি না যায়, তাহলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ। কিছুদিনের জন্য সময় চাইছি। সবকিছু প্রকাশ করা হবে।’
শোরগোলপূর্ণ এ সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের নির্দিষ্ট জবাব না দিয়ে নানা রকম উদাহরণ ও পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা তো মেনে (দাবি) নিতে প্রস্তুত। এ বিষয়গুলো বলল না কেন। বললে তো আমরা মেনে নেব, তাই।’ সংবাদকর্মীদের প্রশ্নবাণের একপর্যায়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আপনারা যে কোত্থেকে কই চলে যান, আমি বুঝি না।’
খেলোয়াড়দের ধর্মঘট নিয়ে বিসিবি সভাপতি বেশ কিছু কথাই বলেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই জানে না আসল পরিকল্পনাটা কী। ওরা না জেনেই এসেছে। আসল পরিকল্পনা জানে দু-একজন।’ খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি সরাসরিই বলেছেন, ‘এমন ভাব দেখাচ্ছে যে আমরা কিছুই করছি না। তোমরা না খেললে আমাদের কী করার আছে।’ এরপর বিসিবির সাম্প্রতিক কিছু কাজের উদাহরণ টানেন নাজমুল হাসান।
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ধর্মঘট ডেকে ‘খেলোয়াড়েরা এ পর্যন্ত সফল। দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সফল হয়েছে। ওরা কথা বলার কোনো সুযোগই রাখেনি। সবই পরিকল্পনার অংশ।’ তবে কাল ধর্মঘটে একাত্মতা ঘোষণা করা সব ক্রিকেটারই যে জেনেশুনে অংশ নিয়েছেন তা মনে করছেন না বিসিবি সভাপতি, ‘সবাই জেনেশুনে অংশ নিয়েছে বলে মনে হয় না। এটা আমাদের খুঁজে বের করা দরকার (ইংরেজিতে বলেন, উই নিড টু ফাইন্ড আউট)।’