বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কা সফর ছিল আত্মবিশ্বাস ফেরানোর মিশন। তবে সেখানে যেন আত্মবিশ্বাসে আরও ছেদ পড়ল। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচ সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। আজ রবিবার স্বাগতিক লঙ্কানদের কাছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩২ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে যায় তামিম-মুশফিকরা।
৯৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। তবে মুশফিক আর ফিল্ডিংয়ে নামেননি। তার পরিবর্তে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন এনামুল হক বিজয়।
বাংলাদেশের দেয়া ২৩৯ রানের সহজ লক্ষ্যে সাবলীলভাবে এগুতে থাকে শ্রীলঙ্কা। অভিস্কা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারত্নে ৭১ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। এরপর করুনারত্নের উইকেট তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে ফার্নান্দো খেলতে থাকেন ঝড়ো ইনিংস। দলীয় ১২৯ রানে সেই ফার্নান্দোকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ। আউট হওয়ার আগে ৭৫ বল থেকে ৮২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। দলীয় ১৪৬ রানে কুশাল পেরেরার উইকেটও তুলে নেন মুস্তাফিজ।
তবে চতুর্থ উইকেটে অ্যাঞ্জেলো ম্যাখুস ও কুশাল মেন্ডিস জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান। মেন্ডিস ৪১ ও ম্যাথুস ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আট উইকেটে ২৩৮ রান করে বাংলাদেশ। মাত্র দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন মুশফিকুর রহিম। মাত্র ১১৭ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে অনেকটাই লড়াইয়ে ফেরান তিনি। সেখান থেকে মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে দলীয় স্কোর দুইশ পার করেন মুশফিক।
এরপর ৪৯ বল থেকে ৪৩ রান করা মিরাজ আউট হয়ে যান। তবে মুশফিক ক্রিজে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ১১০ বল থেকে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার মারে মুশফিক দারুণ এই ইনিংস খেলেন। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে আখিলা ধনঞ্জয়া, নুয়ান প্রদীপ ও ইসুরু উদানা দুটি করে উইকেট নেন।
গত ২৬ জুলাই সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৯১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদের অধীনে প্রথম সিরিজেই বাংলাদেশ হেরে গেল শোচনীয়ভাবে। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটি কলম্বোতেই হবে আগামী ৩১ জুলাই। সেই ম্যাচ জিতলে অন্তত সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারবে বাংলাদেশ।
ইত্তেফাক