আফগানিস্তানের ‘এ’ দলটাতে তাদের জাতীয় দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা আসেননি। বিপরীতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ছিল তারকাখচিত। তারপরও স্বাগতিক বাংলাদেশি দলটা পরপর দুটো ওয়ানডে ম্যাচে আফগানদের কাছে হেরে গেছে। এই পরাজয়কে একাধারে বিব্রতকর ও দুশ্চিন্তার ব্যাপার বলে বলছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক ও ‘এ’ দলের ম্যানেজার হাবিবুল বাশার।
আফগানদের কাছে এই পরাজয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাবিবুল বলছিলেন, এটা বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের জন্য পরীক্ষার একটা জায়গা ছিল। সেই পরীক্ষাটা তারা ভালো করতে পারেনি, ‘এটা অবশ্যই বিব্রতকর। তবে দুশ্চিন্তা বেশি। ওরা কিন্তু ভালো দল। তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। এপ্লিকেশনও ভালো। আফগানিস্তানের এই গ্রুপটা আশার চেয়েও বেশি ভালো খেলেছে। আমাদের দলে যারা আছে তারাও ভালো ক্রিকেট খেলে আসছে। আমি কালকেও বলেছিলাম, ‘এ’ দল একটি সেকেন্ড স্টেজের দল। ঘরোয়া ক্রিকেটে এরা অনেকেই ভালো খেলে। ‘এ’ টিমে আসলে তাদের পরীক্ষাটা ভালো হয়। এই পরীক্ষাটা কেউ ভালো দিতে পারেনি।’
তবে হাবিবুল বলছেন, একই সঙ্গে ভারতের একটি টুর্নামেন্টে বিসিবি একাদশ পাঠাতে গিয়ে ‘এ’ দল গঠন করাটা একটা কঠিন ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল, ‘পরিকল্পনাতো অবশ্যই ছিল। আমাদের যেহেতু হঠাত্ করে একটি ট্যুর চলে আসল ভারতে। আমরা ‘এ’ টিম তৈরি করেছিলাম এই দলটাকেই। ঐখানে অনেক ডেভেলপমেন্ট প্লেয়ার আছে। ঐটা চেঞ্জ করার জন্য আমাদের নতুন করে টিম তৈরি করতে হয়েছে। এই টিমটা তৈরি করার সময় আমাদের চিন্তা ছিল নেক্সট পর্যায়ে কাদের আমরা চিন্তা করতে পারব। এখানে অনেক সিনিয়র প্লেয়ার খেলেছে এবং অনেক তরুণ প্লেয়ারও খেলেছে। এই ৩৮ জন প্লেয়ার এখন ইনভলভড। জাতীয় দলের ১৪ জন। এখানে ১৪ জন আর ঐখানে ১৪ জন। এই ৩৮ জনই আমাদের বেস্ট প্লেয়ার। পরিকল্পনা সব ঠিক আছে। যদি পারফরমেন্স না করে তাহলে তো কিছু করার নেই।’
ভারতের টুর্নামেন্টটিকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণ বলতে গিয়ে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বলছিলেন, ‘ঐ টুর্নামেন্টটাও কম্পিটেটিভ খেলা। ঐ টুর্নামেন্টের কোয়ালিটি কিন্তু অনেক হাই। তাই আমরা চেষ্টা করেছি সেরা দলটা পাঠাতে। যেন আমরা প্রতিবছর এই টুর্নামেন্টে যেতে পারি। আমরা জানি টুর্নামেন্টটা এই সময় হয়।’
তবে এসব যুক্তি নয়, হাবিবুলের মূল কথা হলো, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পারফরম করতে পারেননি, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তেমন কিছু করতে পারেনি। আমরা তাদের কাছ থেকে আরো ভালো কিছু আশা করছিলাম। মিঠুন একটা ইনিংসে রান করছে। ইমরুল কায়েস তো আমাদের জাতীয় দলেরই ক্রিকেটার। এনামুল হক বিজয় প্রথম শ্রেণিতে ভালো রান করেছে।’
এখন পুরো ব্যাপারটা নতুন করে ভেবে দেখার কোনো বিকল্প দেখছেন না হাবিবুল। তিনি বলছিলেন, ‘আমাদের বসে ভাবতে হবে আসলে সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে। এমন তো না যে আমরা কোনো কাজ করছি না। সারা বছর ট্রেনিং পাচ্ছে। কোচরা সাহায্য করছে। সুযোগ-সুবিধা খুবই ভালো। আমরা যখন ছিলাম জাতীয় দলে তখন তেমন অনুশীলন করতে পারতাম না। এখন তো সারাদিনই অনুশীলন করতে পারে।’