দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বার্সেলোনায় পাড়ি জমিয়েছেন আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ থেকে বিশ্বকাপ বিজয়ী এই তারকাকে দলে ভিড়িয়েছে কাতালান জায়ান্টরা। ক্লাবের পক্ষ থেকে শুক্রবার এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বার্সার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এই ফ্রেঞ্চম্যানের রিলিজ ক্লজ বাবদ বার্সেলোনাকে ১২০ মিলিয়ন ইউরো গুনতে হয়েছে। পাঁচ বছরের চুক্তিতে তিনি বার্সেলোনায় যোগ দিতে যাচ্ছেন।’
এক বছর আগে বার্সার সাথে গ্রিজম্যানের চুক্তি প্রায় হয়েই গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। বার্সেলোনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তা গ্রিজম্যান বলেছেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন ট্রেন শুধুমাত্র একবার ঘুড়ে আসে না। এখন নতুন ঠিকানায় নতুন চ্যালেঞ্জ নেবার সময় এসেছে। অবশেষে আমার যাবার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। সব প্রতিশ্রুতি ও লক্ষ্য নিয়েই আমি বার্সার রঙকে রক্ষা করবো। এটা আমার সময়, এটাই আমার পথ।’ বার্সেলোনার পক্ষ থেকে চুক্তির বিষয়টি ঘোষণা দেবার সাথে সাথে এ্যাথলেটিকো জানিয়েছে তারা বিশ্বাস করে এই ধরনের একজন খেলোয়াড়ের জন্য রিলিজ ক্লজের অর্থ পর্যাপ্ত ছিলনা। চলতি মাসের শুরুতে এর পরিমাণ ছিল ২০০ মিলিয়ন। কিন্তু বিভিন্ন আলোচনার পর তা ১২০ মিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়। তারা জানিয়েছে বিষয়টি নিয়ে গ্রিজম্যান স্প্যানিশ ফুটবল লিগের সদর দপ্তর পর্যন্ত গিয়েছিল যা অনেকটা চুক্তি বর্হিভূত কাজ।
তবে শেষ পর্যন্ত দুই ক্লাবের মধ্যে ২৮ বছর বয়সি গ্রীজম্যানকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অধ্যায় তো শেষ হলো। অ্যাথলেটিকো দাবি জানিয়েছে মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ-১৬’তে জুভেন্টাসের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের লড়াইয়ের একদিন আগে গ্রিজম্যান বার্সার সাথে চুক্তির সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে তাদের জানিয়ে দিয়েছিল। ২০১৪ সালে এ্যাথলেটিকোতে যোগ দেয়া গ্রীজম্যান ২৫৭ ম্যাচে ১৩৩ গোল করেছেন। ২০১৮ সালে ইউরোপা লিগের শিরোপা জয়ে তার অনবদ্য অবদান ছিল।
২০১৬ ইউরো প্রতিযোগিতায় তিনি গোল্ডেন বুট পেয়েছিলেন। ঘরের মাঠের ঐ আসরে ফাইনালে পর্তুগালের কাছে পরাজিত হয়ে হতাশ হয়েছিল ফ্রান্সকে। গত বছর রাশিয়া বিশ্বকাপে শিরোপা জয়েও তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
গ্রিজম্যানের বিদায় নিশ্চিত হবার সাথে সাথেই গত সপ্তাহে বেনফিকা থেকে উঠতি তারকা হুয়াও ফেলিক্সকে ১২৬ মিলিয়ন ইউরোতে দলভূক্ত করেছে এ্যাথলেটিকো। এর মাধ্যমে ১৯ বছর বয়সী এই তরুন ফরোয়ার্ড বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়ের তালিকায় শীর্ষ পাঁচের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন। গত মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বেনফিকার হয়ে ফেলিক্স ২০টি গোল করা ছাড়াও ১১টি গোলে সহযোগিতা করেছেন। প্রিমিয়ারা লিগার শিরোপা ছাড়াও ইউরোপা লিগে বেনফিকা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে।