বউয়ের ভয়ে পাকিস্তানি বশির আহমেদ এখন ভারতের কট্টর সমর্থক। স্ত্রী ভারতীয় হওয়ায় ঘরের শান্তি আগে, চাচা শিকাগো নামে পরিচিত বশির আহমেদের কাছে। অবশ্য মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গেও রয়েছে বশির চাচার আট বছরের বন্ধুত্ব। তিনি ভালবাসেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের চরম ভক্ত শোয়েব আলীকেও।
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এই তিন দল যখন পরষ্পরের মুখোমুখি হয় তখন নিজ নিজ দেশের সাপোর্টে কথার যুদ্ধ নামে ফ্যানরা। কিন্তু সবাইতো আর এক রকম না। পাকিস্তানি এই ক্রিকেট সাপোর্টারকেই দেখুন না। বশির আহমেদ। বশির চাচা নামেই যিনি পরিচিত। নিজের দেশকে সাপোর্ট দিতে মাঠে থাকেন। সমান তালে বাংলাদেশ আর ভারতের ম্যাচের দিনও মাঠে হাজিরা দেন চাচা।
টাইগার শোয়েবের সঙ্গে বন্ধুত্বটাও ক্রিকেট মাঠে। ভিসা জটিলতায় শোয়েবের আসা হয়নি ইংল্যান্ড। বশির চাচা মিস করছেন প্রিয় বন্বুকে। সঙ্গে বিসিবির স্বেচ্ছাসেবী ভুলুর জন্যও ভালবাসা জানিয়েছেন চাচা।
পাকিস্তানিরা ভারতের চরম হেটার। সেখানে চাচার ভারতীয় ক্রিকেটের ফ্যান হয়ে ওঠার গল্পটা মেলা আগের। ২০১১ সালে ভারত-পাকিস্তানের সেমিফাইনালের আগে একটি টিকেটের জন্য কি ঘুরাই না ঘুরেছেন। ব্যর্থ হয়েছেন বশির আহমেদ সব চেষ্টায়। তখনকার ভারতীয় অধিনায়ক ধোনি জানতে পেরে নিজ উদ্যোগে তাকে ম্যাচের টিকেট জোগাড় করে দেন। সেই থেকেই ধোনির সঙ্গে বশিরের সখ্যতার শুরু। এই বিশ্বকাপেইতো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটও চাচাকে দিয়েছেন ধোনিই। তবে চাচা অবশ্য ভারতের সাপোর্টার হওয়ার আরেকটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন রশিয়ে।
তিনি বলেন, আমার কাছে ঘরের শান্তি আগে। বউ আমার ভারতীয়। সে ভারতের ক্রিকেট ভালোবাসে। আর আমি তাকে খুশি রাখতে চাই। নইলে আমার খবরই আছে। ভারতের সাপোর্ট না করে কি আর উপায় আছে।
ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্যও বড় জায়গা চাচার হৃদয়ে। মাশরাফি আর সাকিবের বিগ ফ্যান বশির চাচা। তাইতো বাংলাদেশ আর ভারত বার্মিহ্যামে যে হোটেলে উঠেছে সেখানে দু দলের জন্যই ফুল নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণের অপেক্ষায় বশির চাচা।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এনপিবি