সরল অঙ্কের মতো, হিসেব কষে, পাতা শেষ করে উত্তর আসে শূন্য। সরলের হিসেবে নিউজিল্যান্ডকে গ্রুপ পর্বে বিদায়ের অঙ্কও কষা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ধাক্কার শুরুটা করতে হতো। কিন্তু ছন্নছাড়া প্রোটিয়ারা সেই অঙ্ক মেলানোর প্রথম ধাপেই ব্যর্থ। টাইগার সমর্থকদের কাছে তাই সরল অঙ্কের উত্তর আপাতত শূন্য। বিশ্বকাপের মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে ৪ উইকেটে হারালেন কেন উইলিয়ামসন। নিজে অপরাজিত থেকে দলকে অপরাজিত রেখে পয়েন্ট টেবিলে নিয়ে গেলেন শীর্ষে।
শুধু পয়েন্ট টেবিলের রাজত্ব নয়, নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালের পথটা এগিয়ে রাখল। আর টুর্নামেন্ট থেকে এক প্রকার বিদায় নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন যদি ভারত এবং ইংল্যান্ড আসরের সবকটি ম্যাচ হারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ তিন ম্যাচে জয় পায় তবেই সেমিতে খেলতে পারবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কার্যত যা প্রায় অসম্ভব। একইভাবে সেমিফাইনাল লক্ষ্য ধরে এগোনে বাংলাদেশের জন্যও কাজটা কঠিন হয়ে গেলো।
বুধবার এজবাস্টনের মাঠ ভেজা থাকার কারণে টসে বিলম্ব হয়। টসে জেতা দল ম্যাচের অর্ধেক জিতে নেবে জানাই ছিল। সে হিসেবেই কিনা দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শুরুর আগেই অর্ধেক হেরে বসে। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৪১ রান। দলের হয়ে হাশিম আমলা এবং রেসি ভ্যান ডার ডোসন ফিফটি করেন। তার যথাক্রমে ৫৫ এবং ৬৭ রান করেন। আমলা এ ম্যচে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের আট হাজার রান পূর্ণ করেন। ডেভিড মিলার দলের হয়ে প্রয়োজনীয় ৩৬ রান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডও শুরুতে চাপে পড়ে যায়। দলীয় ৮০ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে পঞ্চম উইেটে ৫৭ রান যোগ করেন জেমি নিশাম। পেস অলরাউন্ডার নিশাম ২৩ রান করে আউট হন। ব্যাট হাতে আসল কাজটা করেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। তিনি ৪৭ বলে দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে ৬০ রান করেন। কেনের সঙ্গে তিনি গড়েন ৯১ রানের জুটি। দলকে জয়ের বন্দরে এনে আউট হন গ্রান্ডহোম। শেষ ওভারে ছক্কা ও চার মেরে দলকে জিতিয়ে ফেরেন কেন উইলিয়ামসন।
দক্ষিণ আফ্রিকা যে চাপের মুখে ভেঙে পড়া এক দল তা আরও একবার প্রমাণ হলো। ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভব্য সব সুযোগ তারা হাতছাড়া করেছে। ক্যাচ মিস, ফিল্ডিং মিস। কি করেনি তারা। জেতা ম্যাচ হারের জন্য যা যা করা দরকার সবই দেখা গেলে ডু প্লেসিসদের দল থেকে। তার ফলটাও হাতে নাতে পেয়েছে তারা। বিশ্বকাপের অন্যতম শক্তিশালী দল হয়েও ছয় ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলে আটে তারা।
লেটেস্টবিডিনিউজ/কেএস