উড়ন্ত শুরুর পরও শেষের ধসে পেরে উঠল না শ্রীলংকা

শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং শুরু হয়েছিল ঝড় দিয়ে, শেষটা হয় ধস দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরা। ৩৩৫ রানের পাহাড়সম রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান তারা। তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইন আপ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

ইনিংসের ৬.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে পঞ্চাশ রান যোগ করেন করুনারত্নে ও পেরেরা। প্রথম ওভারে মিসেল স্টার্ককে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১২ রান আদায় করে নেন তারা।

দ্বিতীয় ওভারে পেট কামিন্সকেও একই কায়দায় তুলোধুনো করেন কুশল পেরেরা। ২ ওভার শেষে শ্রীলংকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪ রান। সপ্তম ওভারে জেসন বেনড্রফটকে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৩ রান আদায় করে নেন করুনারত্নে। নবম ওভারে ফের বেনড্রফটকে একটি চার ও সমান ছক্কায় সর্বোচ্চ ১৮ রান আদায় করে নেন পেরেরা।
\"\"

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এভাবে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১২.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ রান পূর্ণ করেন করুনারত্নে ও কুশল পেরেরা। অজিদের বিপক্ষে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে জোড়া ফিফটি গড়েন তারা।

তবে ফিফটি গড়ার পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি কুলশ পেরেরা। মিসেল স্টার্কের বলে স্টাম্প ভেঙ্গে যায় তার। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন পেরেরা। তার বিদায়ে ১৫.৩ ওভারে ১১৫ রানে ভাঙে শ্রীলংকার উদ্বোধনী জুটি। এরপরই শুরু হয় ধস। দ্বিতীয় উইকেটে করুনারত্নে ও থিরিমান্নে এরপর যোগ করেন ৩৮ রান। থিরিমান্নের উইকেটটাই ম্যাচের লাগামটা অস্ট্রেলিয়ার হাতে তুলে দেয়। দলীয় ১৮৬ রানে আউট হন দিমুথ করুনারত্নে। ৯৭ রান করেন লংকান অধিনায়ক।
\"\"

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলংকা। ম্যাথুস ফিরে যান মাত্র ৯ রান করে। এই সময় মিচেল স্টার্ক একেবারে পেয়ে বসেন শ্রীলংকান ব্যাটসম্যানদের। মিলিন্দ সিরিবর্ধনে, থিসারা পেরেরা ও কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দিয়ে লড়াইটা একেবারে একপেশে করে তোলেন এই পেসার। তাকে সঙ্গ দেন কেন রিচার্ডসন।

মূলত বেশি রানের চাপটা শেষ পর্যন্ত নিতে পারেনি শ্রীলংকা। স্নায়ুর লড়াইয়ে আর পেরে ওঠেনি লংকান লোয়ার অর্ডার। অজি পেসারদের দাপটে শেষ পর্যন্ত ২৪৭ রানে অলআউট হয় লংকানরা।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ৩৩৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চ ১৩২ বলে ১৫৩,স্টিভেন স্মিথ ৫৯ বলে ৭৩ ও ম্যাক্সওয়েলের ২৫ বলে ৪৬ রান করেন।
\"\"

শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল অস্ট্রেলিয়াও। উদ্বোধনী জুটিতেই ৮০ রান তুলে নেন অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৪৮ বলে ২৬ রান করে ওয়ার্নার ফিরলেও অন্যপ্রান্তে ফিঞ্চ দাঁড়িয়ে ছিলেন খুঁটির মতো। দলীয় ১০০ রানে ফিরে যান উসমান খাজা। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ১০ রান। এরপর স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে ১৭৩ রানের জুটি বাধেন ফিঞ্চ। দলীয় ২৭৩ রানে ফিঞ্চ যখন ফিরে আসেন তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৫৩ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।

ফিঞ্চ ফেরার খানিকবাদেই ফিরে যান স্মিথও। শেষের দিক নিজ স্টাইলে ব্যাটিং করতে থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে অন্যরা তাকে সঙ্গ দিতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসটা আরো বাড়তে পারতো।

লেটেস্টবিডিনিউজ/এনপিবি

Scroll to Top