৩৪৯ রানের জবাব দিতে নেমে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান জো রুট এবং জস বাটলার। তবুও জিততে পারলো না স্বাগতিক ইংলিশরা। পাকিস্তানের কাছে হারতে হলো ১৪ রানের ব্যবধানে।
দুই দলের চরিত্রটাই ভিন্ন ভিন্ন হলো এবার। প্রথম ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা ছিল ইংল্যান্ডের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ১০৪ রানের ব্যবধানে। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান অলআউট হয়েছিল ১০৫ রানে। হেরেছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
এবার সেই পাকিস্তান পরের ম্যাচে এসেই করে ফেললো ৩৪৮ রান। এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের স্কোর উপহার দিলো তারা। কিন্তু কোনো সেঞ্চুরি আসেনি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে।
কিন্তু ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ৩৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে করলো ৩৩৪ রান। নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ টোটালের ম্যাচ এটি। তবুও ইংল্যান্ডকে হারতে হলো। যে উড়ন্ত সূচনা তারা করেছিল, তা দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই থমকে দাঁড়ালো তাদের।
প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগান পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। তারা দলকে ৮৫ বলে ৮২ রানের সূচনা এনে দেন। ৩৬ রানে জামানকে আউট করে ইংল্যান্ডকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন ইংল্যান্ডের স্পিনার মঈন আলী। এরপর বেশি দূর যেতে পারেননি আরেক ওপেনার ইমামও। বক্তিগত ৪৪ রান করে মঈনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
দলীয় ১১১ রানে দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। এরপর ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ। মারমুখী মেজাজে ব্যাট করার পাশাপাশি দলের স্কোর বড় করছিলেন তারা। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে দলের স্কোর দু’শর কাছাকাছি নিয়ে যান। আর তখনই পাকিস্তান ব্যাটিং লাইন-আপে তৃতীয়বারের মত আঘাত হানেন মঈন। ৬৩ রান করেন বাবর।
এরপর ক্রিজে হাফিজের সঙ্গী হন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। এই জুটিও ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। এতে তিনশতাধিক রানের পথ পেয়ে যায় পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের পেসার মার্ক উডের শিকার হবার আগে ৮৪ রান করেন হাফিজ।
সরফরাজ ৫৫ করে বিদায় নিলেও শেষদিকে, হাসান আলি ও শাদাব খান উভয়ই ১০ রান করে করলে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৪৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও মঈন ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট শিকার করেছেন উড।
লেটেস্টবিডিনিউজ/কেএস