বাংলাদেশ খুব ভালো ব্যাট করেছে। ওদেরকে কৃতিত্ব আমার দিতেই হবে। ওরা সুচিন্তিত ঝুঁকি নিয়েছে। ইনিংস খুব ভালোভাবে এগিয়ে নিয়েছে। দেখিয়েছে, কিভাবে বড় স্কোর গড়তে হয়। আমরা সেটি করার চেষ্টা করেছি, তবে লস্বা সময় পারিনি। ওরা বড় জুটি গড়েছে, তাই আজকে আমাদের চেয়ে (২১ রান) বেশি করেছে।
কথাগুলো বলছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ইংল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে শুরু হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ মিশন। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট দলের বিপক্ষে পরাজয় সেভাবে আলোচনার খোরাক জোগায়নি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশের কাছে হারার পর প্রশ্নবাণে জর্জরিত হলেন ডু প্লেসি।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক জানালেন, আগ্রাসী বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল দুই ম্যাচেই। কাজে লাগেনি সেই পরিকল্পনা। রোববার বাংলাদেশের ব্যাটিং থেকে শিক্ষা নিয়ে রান তাড়া সেভাবেই করতে চেয়েছি তারা, পেরে ওঠেনি সেখানেও।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ, এমনকি এই ম্যাচেও আমাদের লক্ষ্য ছিল আগ্রাসী বোলিং দিয়ে ওদের কাবু করা। কিন্তু আমরা নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারিনি। নতুন বলের বোলাররাই বলবে যে তারা আজকে সেরা ছিল না। যথেষ্ট ভালো ছিলাম না।
পরের ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকার অপেক্ষায় কঠিন চ্যালেঞ্জ। সাউথ্যাম্পটনে তাদের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ভারত। এই ম্যাচও হারলে প্রোটিয়াদের ঘুরে দাঁড়ানো হয়ে উঠবে ভীষণ কঠিন।
ডু প্লেসি জানান, আমাকে বিশ্বাস রাখতেই হবে। বিশ্বাস না রাখলে আমি দক্ষিণ আফ্রিকান থাকব না। গিয়ে চেষ্টা করব, কিভাবে দলকে অনুপ্রাণিত করা যায়। ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলব আমরা। জানি যে দল হিসেবে এখন আমরা ভালো করছি না। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো এমন নয় যে চাইলেই জেতা যায়। চেষ্টা করতে হবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এসকেবি