ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে উইকেট হবে ব্যাটিং বান্ধব। যেখানে রানের বন্যা বইবে। আগে ব্যাট করা দল চাইবে স্কোর যত বড় করা যায়। তাইতো পরে ব্যাট করা দলকে জিততে নিতে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জ। ব্যাপারগুলো এরইমধ্যে আমলে নিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস। শুধু তাই নয়- ইতিবাচক ফলাফলের বিশ্বকাপে দশ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলার পরিকল্পনাও করছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের দিকে তাকালে দেখা মোস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ রাহী ও রুবেল হোসেন ছাড়া সবাই ব্যাটিংয়ে বেশ দক্ষ। তাইতো কোচ স্টিভ রোডস চাইছেন একাদশ এমনভাবে সাজাতে যেখানে দশজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করতে পারেন, ‘লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে খেলার চেষ্টা করছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে কেবল একজন বোলার থাকে যে ব্যাটিংয়ে অতো পারদর্শী নয়, তিনজন নয়। আমার মনে হয় এটা বড় রান করতে সাহায্য করবে। যখন অনেক বড় রান তাড়া করতে হবে তখন শেষ দিকে তিন-চার ওভারে অনেক উইকেট পড়তে পারে।’
ইংল্যান্ডের উইকেট বোলারদের জন্য কঠিন হবে। এ সুযোগ নিয়েই রোডস চাইছেন স্কোর যতটা সম্ভব বড় করতে, ‘এখানে উইকেট খুব ভালো। আউটফিল্ডও খুব গতিময়, বল করা তাই খুব কঠিন বিশেষ করে পাওয়ার প্লের সময়। কাজেই আমরাও বড় সংগ্রহ গড়তে পারব, সেটা বিস্ময়কর হবে না। এমন পরিবেশে আগে খেলিনি বলেই বড় স্কোর হতো। গত এক বছর ধরে আমরা প্রচুর খাটছি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। আশা করছি এভাবে এটা ধরা রাখা যাবে।’
বড় রান তাড়ায় লম্বা ব্যাটিং লাইনআপে আস্থা রাখতে চাইছেন রোডস। সম্প্রতি ডেথ বোলিংয়ে সাইফুদ্দিন দারুণ করায় এখন একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে নামতে পারছে বাংলাদেশ। পেস অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন একই সঙ্গে সামলাচ্ছেন তৃতীয় পেসারের দায়িত্ব। এমনকি মাশরাফির সঙ্গে ইনিংসের শুরু আর মোস্তাফিজের সঙ্গে শেষটায় রাখছেন অবদান।
এবারের বিশ্বকাপের একাদশ মোটামুটি ঠিকই করে ফেলেছেন রোডস। তাইতো তিনি বলেছেন
একাদশে ব্যাটিংয়ে আনকোরা কেবল একজনই জায়গা পাচ্ছেন, ‘লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে খেলার চেষ্টা করছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে কেবল একজন বোলার থাকে যে ব্যাটিংয়ে অতো পারদর্শী নয়, তিনজন নয়। আমার মনে হয় এটা বড় রান করতে সাহায্য করবে। যখন অনেক বড় রান তাড়া করতে হবে তখন শেষ দিকে তিন-চার ওভারে অনেক উইকেট পড়তে পারে।’
সদ্যই শেষ হওয়া ত্রি-দেশীয় সিরিজে দারুণ ব্যাটিং পারফর্ম করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ের যা স্টিভ রোডসকে দিচ্ছে ভরসা। ঝড়ো ব্যাটিং করতে পারেন সাব্বির। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেকও যে দলের হাল ধরতে পারেন। মিরাজ, মিথুন, সাইফুদ্দিনও কম যাননা। সব মিলিয়ে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপে এবারের বিশ্বকাপে আস্থা মাশরাফিদের গুরুর, ‘তেড়েফুঁড়ে মারার সক্ষমতা আছে সাব্বিরের। শেষ ১০ ওভারে প্রচুর রান বাড়াতে পারে সে। যদি ওভারপ্রতি ৭ করে দরকার হয় তাহলে তার বোঝার ক্ষমতা আছে যে কাজটা তাকে শেষ করতে হবে। একই কথা খাটে মাহমুদউল্লাহর বেলায়। মোসাদ্দেক কি করতে পারে আপনারা দেখেছেন। এছাড়া মিরাজ, মিথুন, সাইফুদ্দিনকে আমরা শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে দেখতে চাই। পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয় এমন পজিশনে তারা খেলবে। মাশরাফিও মারতে পারে।’
আগামী ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হচ্ছে। তার আগে আগামী ২৬ ও ২৮ মে পাকিস্তানে ও ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্ততি ম্যাচ খেলবে টিম টাইগার্স।