তখনও দরকার ছিল ৫০ বলে ৬৭ রান। হাতে আছে পাঁচ উইকেট। কাজটা খুব কঠিন না হলেও শঙ্কা তো ছিলই। কারণ এর আগেও অনেকবার শিরোপার কাছে গিয়েও ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশের। হাতের মুঠোয় জয় থাকলেও ফসকে গেছে নিমিষেই। কিন্তু এবার সেটি হতে দিলেন না মোসাদ্দেক।
৪ ওভারে ৩৯ রানের সমীকরণকে আর জটিল বানাতে দেননি মোসাদ্দেক। একস্ট্রা কাভারের ওপর দিয়ে অসাধারণ এক শটে ছক্কা। সে ওভারেই সমীকরণটা ১৮ বলে ২৭ হয়ে গেল। ১৫ বলে ২৬ রান নিয়ে ২২তম ওভার শুরু করলেন মোসাদ্দেক।
ফ্যাবিয়েন অ্যালানের প্রথম বলেই রিভার্স হিট। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছক্কা। পরের বলে অনেকটাই প্রথাগত শট। এগিয়ে এসে লং অফ দিয়ে আরেক ছক্কা। নড়ে চড়ে বসতেই হলো। বিশেষ কিছু কি হতে যাচ্ছে? অ্যালান বুদ্ধি করে দ্রুত গতির বল ছাড়লেন। কিন্তু তার চেয়েও বেশি বুদ্ধি দেখিয়ে চার মারলেন মোসাদ্দেক। চতুর্থ বলেও মোসাদ্দেক থামলেন না। কভার দিয়ে ছক্কা! ম্যাচ নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সব অনিশ্চয়তা ততক্ষণে শেষ। তখন অন্য কিছুর অপেক্ষা। ১৯ বলে ৪৮ রান তখন মোসাদ্দেকের।
শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেকের ২৪ বলে ৫২ রানের অসাধারণ ইনিংসে জয় ধরা দিয়েছে ৭ বল বাকি থাকতেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশ জিতেছে শিরোপা।
দলকে জিতিয়ে যখন ফিরছেন, মোসাদ্দেককে আবার পিঠ চাপড়ে দিলেন মাশরাফি। ম্যাচ শেষে মোসাদ্দেক জানালেন, অধিনায়কের কাছ থেকে পাওয়া প্রেরণার কথা।
উইকেটে যাওয়ার আগে মাশরাফি ভাই বলছিলেন, ‘সৈকত তুই পারবি। যা ইচ্ছা খেল, শেষ করে আয়।’ শুধু ওই সময়ই নয়, আগের ম্যাচে বোলিংয়ের সময়, এমনকি এবার ঢাকা লিগের পুরো সময়, মাশরাফি ভাই আমাকে নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। দলের বাইরে ছিলাম তখন। উনি বলেছেন যে, কি কি করলে দলে ফিরতে পারি। অধিনায়ক এমন ভরসা করলে আত্মবিশ্বাস সবসময়ই ভালো থাকে।
ব্যাটিংয়ে যাওয়ার পর আমার একটি ব্যাপারই কাজ করছিল যে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলব। এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে খুব সহজ ছিল না। আমি চেষ্টা করেছি বল বুঝে খেলতে। আর কিছু না।