প্রথম শিরোপা জিততে বাংলাদেশের দরকার ২১০

এর আগে ছয়বার বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু চূড়ান্ত পর্বে গিয়ে কখনোই সফলতা পায়নি টাইগাররা। বার বার মিস হয়েছে শিরোপা। আবার সুযোগ এসেছে টাইগারদের সামনে। তবে কি আজ পারবে ইতিহাস গড়তে? নতুন ইতিহাস।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে প্রথম ব্যাট করে উইন্ডিজ ২৪ ওভারে ১ উইকেটে করেছে ১৫২ রান। তবে বৃষ্টি আইনে টাইগারদের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২১০ রানের। প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেতে হলে টপকাতে হবে এই স্কোর।

বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ সময় ধরে খেলা বন্ধ ছিল। যে কারণে কমলো ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের দৈর্ঘ্য। ম্যাচ হয় ২৪ ওভারে। খেলা শুরুর পর বৃষ্টি হওয়ায় ৫০ ওভারের ম্যাচটি গড়ায় ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে। রাত সাড়ে ১০টায় খেলা আবারও শুরু হয়। বৃষ্টি শুরুর আগে শাই হোপ এবং সুনীল অ্যামব্রিসের জোড়া ফিফটিতে বিনা উইকেটে ২০.১ ওভারে ১৩১ রান সংগ্রহ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচটি শুরুর কিছু সময় পর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচটি যদি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয় তাহলে শিরোপা জিতবে টাইগাররা। ফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। রিজার্ভ ডে থাকলে আজ না হলে আগামীকাল ফাইনাল ম্যাচটি হতে পারত। যেহেতু রিজার্ভ ডে নেই। তাছাড়া ফাইনালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ অপরাজিত, সেহেতু টাইগাররাই শিরোপা জিতবে।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচে দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশ। সবশেষ ম্যাচে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দল।

শুক্রবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান শাই হোপ। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৮তম বলে মোস্তাফিজুর রহমানকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন হোপ। তার দেখা দেখি অর্ধশতক রান করেন সুনীল আমব্রিস। তিনি ৬০ বলে ফিফটিতে পৌঁছান।

বাংলাদেশ মানেই ব্যাটিংয়ে দুর্বার শাই হোপ। টাইগারদের বিপক্ষে আরও একটি ফিফটি তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ ওপেনার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম ম্যাচে ১০ম ফিফটি করেন হোপ।

শাই হোপ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ইতিমধ্যে ৬টি সেঞ্চুরি করেছেন। তার মধ্যে তিনটি পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে। টাইগারদের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি গড়েন শাই হোপ।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি মিরাজ, মাশরাফি মুর্তজা ও মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: শাই হোপ, সুনীল আমব্রিস, ড্যারেন ব্রাভো, রোস্টন চেজ, জোনাথন কার্টার, জেসন হোল্ডার, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, আসলি নার্স, কেমার রোচ, রেমন্ড রেইফার ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।

Scroll to Top