রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে প্রথমে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল আয়াক্স। এরপর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসকে পাত্তা না দিয়ে নেদারল্যান্ডসের দলটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠে। যা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে ইউরোপ সেরার এ টুর্নামেন্টে আবারো চমক দিয়েছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। এবার তারা ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামকে হারিয়ে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো।
টটেনহ্যাম হটস্পারের স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে আয়াক্স। আগামী ৮ মে হবে ফিরতি লেগের খেলা। প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরা আসরের ফাইনালে উঠতে আয়াক্সের মাঠে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলকে জিততে হবে কমপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে।
প্রতিপক্ষের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে আয়াক্স। অবশ্য কোন অংশেই কম যাচ্ছিলো না টটেনহাম। তবে ১৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আয়াক্স। হাকিমের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেখেশুনে লক্ষ্যভেদ করেন ফন দে বেক। ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড অফসাইডে ছিলেন কিনা ভিএআরের সাহায্যে দেখে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
চোটের কারণে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে টটেনহ্যামের আক্রমণভাগে ছিলেন না তারকা ফরোয়ার্ড হ্যারি কেন। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে তিন গোল করা সন হিউং-মিনকেও কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় এ ম্যাচে পায়নি ইংল্যান্ডের দলটি। ফলে তাদের খেলায় ছিল না আক্রমণের ধার।
বিরতির আগে সমতায় ফেরার দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিল টটেনহ্যাম। কিন্তু সতীর্থের ফ্রি কিকে টবি আল্ডারভাইরেল্ডের হেড ওপরের জাল কাঁপিয়ে জালের দেখা পায়নি। এদিকে মুসা সিসোকোর দূরপাল্লার শটও স্বাগতিকদের এনে দিতে পারেনি সমতাসূচক গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে সমতায় ফিরতে জোর চেষ্টা চালায় টটেনহ্যাম। সুযোগও স্বাগতিকরা পেয়েছিল ৫৭তম মিনিটে। কিন্তু ডেলে আলির হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এদিকে ম্যাচে ৭৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে আয়াক্স। সে সময় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডেভিড নেরেসের শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর আর কোন দল পায়নি জালের দেখা। যে কারণে ১-০ গোলের জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বেশ এগিয়েই গেল আয়াক্স।