উন্মুক্ত এক ম্যাচ। গোলের উৎসব। রক্ষণ নিয়ে যেন দু\’দলের চিন্তা নেই। গোলই একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ করেছে পেপ গার্দিওয়ালার ম্যানসিটির। ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের জালে গোল উৎসব করেছে তারা। গোলের খুশিতে মাতে টটেনহ্যামও। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সিটির কাছে ৪-৩ গোলে হারেও পচেত্তিনোর টটেনহ্যাম। তারপরও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে স্পার্সদের।
প্রথম লেগে ঘরের মাঠে টটেনহ্যাম ১-০ গোলে সিটির বিপক্ষে জয় পায়। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ গোলে সমতা হয়েছে সিটি-স্পারদের ম্যাচ। কিন্তু ঘরের মাঠে এক গোল পাওয়া টটেনহ্যাম দ্বিতীয় লেগে পেয়েছে তিনটি অ্যাওয়ে গোল। সেই সুবিধা নিয়েই সিটিকে বিদায় করে সেমিতে তারা। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে প্রিমিয়ার লিগের দলটি মুখোমুখি হবে আয়াক্সের।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের উৎসবে মাতে দু\’দল। ২১ মিনিটের মধ্যে পাঁচ গোল দেখেন ইতিহাস স্টেডিয়ামের দর্শকরা। এর মধ্যে সিটি দেয় তিন গোল। দুই গোল করে টটেনহ্যাম। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে গোল করেন রাহিম স্টারলিং। সাত মিনিটে গোল শোধ দেন প্রথম লেগে গোল পাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলার সন হিউয়েন মিন। এরপর ম্যাচের দশম মিনিটে তার গোলে এগিয়ে যায় স্পাররা। এক মিনিট বাদেই সেই গোল শোধ দেয় সিটির বেনার্ড সিলভা। এরপর স্টারলিংয়ের ২১ মিনিটের গোল করে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি। শেষ করে প্রথমার্ধ।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টিনা স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো। তিনি গোল করে সিটি ভক্তদের স্বপ্ন জাগিয়ে তোলেন। দলকে এগিয়ে নেন ৪-২ ব্যবধানে। ওই ব্যবধানে জিততে পারলে সেমিতে যেত সিটি। কিন্তু লরেন্তে ম্যাচের ৭৩ মিনিটি গোল করে তাদের সেই আশা শেষ করে দেয়। ম্যাচের যোগ করা সময়ে অবশ্য গোল করে উল্লাসে ভাসেন আগুয়েরো। কিন্তু ভিএআরের সহায়তা নিয়ে গোলটি অফ-সাইট ঘোষণা করেন রেফারি। সিটিকে তাই ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটেই থামতে হয়।
দারুণ এ জয়ে টটেনহ্যাম তাদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের (১৯৬১-৬২) মতো ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালে উঠল। প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম দল হিসেবে সেমিতে উঠল স্পাররা। যা কোন লিগের সর্বোচ্চ। ছাড়িয়ে গেল লা লিগাকে। ম্যাচের ২১ মিনিটে পাঁচ গোল করে দু\’দল। যা ইউরোপের প্রতিযোগিতায় দ্রুত পাঁচ গোলের রেকর্ড। একই লিগের দলের কাছে পরপর দু\’বার কোয়ার্টারে বিদায় নিল সিটি। আগেরবার লিভাপুলের কাছে হেরেছিল তারা। অন্য কোন দলের কপাল এভাবে কখনো পোড়েনি।