বিপিএলে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে তার দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স সুপার লিগে উঠতে পারেনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা চার মাসের ব্যস্ততা শেষে গতকাল বিকালে হায়দরাবাদের উদ্দেশ্যে বিমানে চড়তে হয়েছে সালাউদ্দিনকে।
প্রিয় শিষ্য সাকিব আল হাসান ডেকেছেন তাকে। আইপিএলে এখন সাইড বেঞ্চেই সময় কাটছে সাকিবের। এক ম্যাচ খেলার পর আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। মোহাম্মদ নবীর পারফরম্যান্স ক্রমেই সুযোগ কমিয়ে দিচ্ছে এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের। তাই সময়টা কাজে লাগাতে ‘গুরু’ সালাউদ্দিনকে হায়দরাবাদ উড়িয়ে নিয়ে গেলেন তিনি। মূলত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে কাজ করতেই সালাউদ্দিনের শরণাপন্ন হয়েছেন সাকিব।
গতকাল বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই সহকারী কোচ। জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘সাকিব ডেকেছে তাই যাচ্ছি। নির্দিষ্ট কি বিষয়ে কাজ করবে তা সেখানে গেলে জানতে পারবো। ওখানে অনেক মাঠ আছে, কাজ করা যাবে। আইপিএলে তার ম্যাচ খেলার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি।’
হায়দরাবাদে সালাউদ্দিনের সঙ্গে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিই নেবেন সাকিব। গতকাল এই কোচ বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের প্রস্তুতির একটা বিষয় থাকবে। তারপরও যাওয়ার পর ওর চাহিদা শুনলে সব বুঝতে পারব।’
বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ ক্যাম্প শুরু হবে ২২ এপ্রিল। এই ক্যাম্পে সাকিব থাকছেন না এটা স্পষ্ট। কারণ এই মাস পুরোটাই হায়দরাবাদে সাকিবের সঙ্গে থাকবেন সালাউদ্দিন। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘এই মাস পুরোটা থাকবো। সেইভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি।’
অতীতে অনেকবার আইপিএলের মাঝপথে সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করেছেন সাকিব। তাতে সফলতাও পেয়েছিলেন হাতে নাতে। আগে দেশে ফিরে ২-১ দিন কাজ করে গেলেও সাকিব এবার গুরুকে নিয়ে গেলেন নিজের কাছে। আইপিএলে এবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক। ৪২ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছেন তিনি।
শুধু সাকিব নন; তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েসদের পাশাপাশি বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা নিয়মিতই কাজ করেন সালাউদ্দিনের সঙ্গে। জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও এই কোচই খারাপ সময়ে দেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের সবচে বড় আশ্রয়স্থল।