লুইস সুয়ারেজের একমাত্র গোলে অবশেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে জয় খরা কাটলো বার্সেলোনা। আর তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি-ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেল কাতালানরা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। এর আগে এ মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে আগের চারবারের দেখায় দুবার হেরেছিল কাতালানরা, অন্য দুটি ড্র।
বুধবার ঘরের মাঠে শুরুতে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললেও বেশিক্ষণ নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে রাখতে পারেনি ইউনাইটেড। দ্বাদশ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। সে সময় অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চিপ শটে ডান দিকে সুয়ারেজকে বাড়ান মেসি। আর উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের হেডে বল ডিফেন্ডার লুক শ’র গায়ে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়। অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন লাইন্সম্যান, তবে ভিএআরের সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বার্সেলোনা শিবিরে চিন্তার ভাজ ফেলে দেন মেসি। কেননা এ ফরোয়ার্ড ৩১তম মিনিটে
ক্রিস স্মলিংয়ের ট্যাকলে নাকে আঘাত পান। রক্ত পড়তে দেখা যায় বার্সেলোনা অধিনায়কের নাক থেকে। তবে সাইডলাইনে কিছুক্ষণ চিকিৎসা নিয়ে দ্রুতই মাঠে ফেরেন এ আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড।
পেছনে পড়ার পর বার্সেলোনা শিবিরে আক্রমণে ব্যস্ত হয়ে ওঠে ম্যানইউ। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে আবারো গোল হজমের শঙ্কায় পড়েছিল দলটি। তবে এ যাত্রায় ডি-বক্সে অরক্ষিত ফিলিপে কৌতিনহোর নেওয়া শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া।
বিরতির পরও গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ম্যানইউ। ৫১তম মিনিটে ভালো সুযোগও পেয়েছিল তারা; কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে ভলিতে উড়িয়ে মারেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। এদিকে ৬৫তম মিনিটে স্বাগতিকদের জালে বল জড়ানোর দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেজ। ছোট ডি-বক্সের ডান দিক থেকে তার কোনাকুনি শট লাগে পাশের জালে।
সহজ সুযোগ নষ্ট করা ম্যানইউ শেষ দিকে প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু ফরোয়ার্ডের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত তাদের আশা পূরণ হয়নি। যে কারণে কষ্টের জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে গেল কাতালানরা। আগামী মঙ্গলবার ন্যু-ক্যাম্পে ফিরতি পর্ব। সেখানে ড্র করলেই শেষ চারের টিকেট পাবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।