স্ট্যাচু অব লিবার্টির চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু যাবে পৃথিবীর পাশ দিয়ে!

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে থাকে পৃথিবীর আশপাশে ঘুরতে থাকা গ্রহাণুগুলো। এই মহাকাশের পাথরটি স্ট্যাচু অব লিবার্টির আকারের তিনগুণ বড়। এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২১ এনওয়াইওয়ান’।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীকে আঘাত করবে না এই গ্রহাণু। কিন্তু এটিকে এখনো পৃথিবীর নিকটবর্তী একটি গ্রহাণু বিবেচনা করা হচ্ছে। সূর্য থেকে ১৯ কোটি কিলোমিটার দূরে এই গ্রহাণু পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। এই গ্রহাণু পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে থেকেই পৃথিবী অতিক্রম করার কথা রয়েছে। পৃথিবী আর চাঁদের দূরত্বের চারগুণ দূরে থেকে এই গ্রহাণু পৃথিবীকে অতিক্রম করবে।

নাসার বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুকে পৃথিবী বা পৃথিবীর প্রাণীদের জন্য কোনো হুমকি হিসেবে দেখছেন না। নাসার একটি প্রতিনিধিদল প্রতিনিয়ত এই গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ করছেন, ভবিষ্যতে এই গ্রহাণু গতিপথ বা কক্ষপথ পরিবর্তন করে কিনা, সে বিষয়ে সতর্ক থাকছেন।

পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে কিনা বা পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে কি না, সে বিষয়টি নাসার প্রতিনিধিদল তদরকি করছে। এই গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, গ্রহাণুটি সৌরজগতের শুরুর দিকের বিভিন্ন তথ্য ধারণ করতে পারে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের পাথুরে গ্রহাণুগুলো সৌরজগত সৃষ্টির সময় সৃষ্টি হয়েছিল। গ্রহাণু ‘২০২১ এনওয়াই ওয়ান’ একটি বিশাল পাথর, যেটির আকার হতে পারে ১৩০ থেকে ৩০০ মিটার। যেটি স্ট্যাচু অব লিবার্টির আকারের তিনগুণ বড়। মহাকাশে এই গ্রহাণুর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার কিলোমিটার। শব্দের গতিবেগের তুলনায় ২৭ গুণ বেশি দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে এ গ্রহাণু।

গতিবেগ আর অবস্থান যতই পর্যবেক্ষণ করা হোক, নিশ্চিত হয়ে কেউ বলতে পারে না এই গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে যেতে যেতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বিধ্বস্ত হবে কিনা, বা পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে আঘাত করবে কিনা। এই গ্রহাণু নিয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার গ্রহাণু অতিক্রম করবে পৃথিবীর পাশ দিয়ে।

এদিকে আরেকটি গ্রহাণুর কথা বলছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। অ্যাপোফিস নামের এই গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়েই যাবে কিন্তু অন্তত শত বছর পৃথিবীকে আঘাত করবে না। ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল শুক্রবার অ্যাপোফিস পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে।

৩৪০ মিটার আকারের এই গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে মাত্র ৩১ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে যাবে। এই দূরত্ব অনেক স্যাটেলাইটের দূরত্বের চেয়েও কম। অ্যাপোফিসের বিশাল আকারের জন্য এই গ্রহাণু খালি দেখবেন পৃথিবীর ২০০ কোটি মানুষ।