আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। এই ফরজ নামাজের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছু আমল করতেন, যা কয়েকটি হাদিসের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে।
হাদিসে এসেছে, আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না। (নাসায়ি, হাদিস: ৯৪৪৮)
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে, এভাবে তার সমষ্টি ৯৯ হওয়ার পর, সে শততম বার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইন কাদির’ পড়বে, তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও আল্লাহতায়ালা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম, হাদিস: ১২৩৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ বলতেন। (মুসলিম, হাদিস: ১২২২)
আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের সালামের পর একটি দোয়া পড়তেন, তা হচ্ছে- আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিব নামাজের পর সাতবার আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার পড়বে, সেদিন বা সে রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৮০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার এই দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট করবেন। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৩৮৯)। দোয়াটি হল- রাদিতু বিল্লাহি রব্বাও, ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনাও, ওয়া বি মুহাম্মাদি নাবিইয়া।
মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘হে মুয়াজ, ফরজ নামাজগুলোর পর এ দোয়া পাঠ করো- আল্লাহুম্মা আ ইন্নি আলা জিকরিকা, ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিক।’ (মুসলিম, হাদিস: ৩৯)