আজ শনিবার ৯ জিলহজ। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আজ মুখরিত হবে আরাফাত ময়দান। বাংলাদেশসহ বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ মুসলমান পবিত্র হজ পালনে জড়ো হয়েছেন।
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেেন, আরাফাতে অবস্থানই হলো হজ। (মুসনাদে আহমদ: ৪/৩৩৫)।
আরাফাতে অবস্থানকারীরা ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। শুক্রবার ৮ জিলহজ মিনায় অবস্থান করেছেন হজযাত্রীরা। ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সন্ধ্যার পর মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করবেন। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন।
এরপর বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে স্বাভাবিক পোশাকে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান এবং প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ প্রতিবারের মতো বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সবশেষে কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা। হজ সম্পন্ন করতে সবমিলিয়ে সময় লাগে পাঁচদিন।
পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের ১৩ জন মারা গেছেন মক্কায়, আর চারজন মদিনায়।