মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষকে এজন্যেই যে, তারা কেবল আমার ইবাদাত করবে।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ৫৬)
মহান আল্লাহ সবার হিসেব নিবেন। ছোট আমল হোক কিংবা বড়- একজন মুমিনের জন্য সবকিছু আমলের খাতায় লেখা থাকবে। তাই কোনো আমলকেই ছোট করে দেখা যাবে না। একাগ্রতার সঙ্গে ছোট ছোট আমলগুলোও করতে হবে। ছোট ছোট আমলগুলো একদিন মহৎ প্রাপ্তি হিসেবে কাজে দেবে।
বিখ্যাত সাহাবি হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুটি বাক্য আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। তা জিহ্বায় উচ্চারণ করা হালকা হলেও পরকালের পাল্লায় তা অনেক ভারি হবে। বাক্য দুটি হলো,
سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম। (বুখারি: ৬৪০৬)
এই দুটি বাক্য পাঠের তিনটি ফজিলত। এক. আল্লাহর প্রিয় বাক্য। দুই. উচ্চারণে খুবই সহজ। তিন. পরকালে এর সওয়াব অনেক বেশি। হাদিসে উল্লিখিত বাক্য দুটিতে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতার কথা বর্ণিত হয়েছে, যা মহান আল্লাহর জিকির তথা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ বলেছেন,
اَلَا بِذِکۡرِ اللّٰهِ تَطۡمَئِنُّ الۡقُلُوۡبُ অর্থ: আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্ত হয়। (সুরা রাদ, আয়াত: ২৮)
কিয়ামতের দিন মানুষের কাজ পরিমাপের জন্য ‘মিজান’ তথা পরিমাপক স্থাপন করা হবে। কারও ভালো কাজ ভারি হবে এবং কারও মন্দ কাজ। তবে মুমিনের এমন কিছু আমল আছে, যা হালকা মনে হলেও এর ওজন অনেক বেশি হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
وَ نَضَعُ الۡمَوَازِیۡنَ الۡقِسۡطَ لِیَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ فَلَا تُظۡلَمُ نَفۡسٌ شَیۡئًا ؕ وَ اِنۡ کَانَ مِثۡقَالَ حَبَّۃٍ مِّنۡ خَرۡدَلٍ اَتَیۡنَا بِهَا ؕ وَ کَفٰی بِنَا حٰسِبِیۡنَ অর্থ: আমি কিয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদণ্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না। কোনো কাজ যদি তিল পরিমাণ ওজনের হয়, তবু আমি তা উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আমিই যথেষ্ট। (সুরা আম্বিয়া: ৪৭)
হযরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি: ৩৪৬৪)