প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত প্রতিদান আছে। যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ রোজার বিষয়ে আছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক অনন্য ঘোষণা।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকির সওয়াব ১০ থেকে ২৭ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘কিন্তু রোজা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব।
বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৫১)
রোজাদারের জন্য জান্নাতে বিশেষ দরজা থাকবে। সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, জান্নাতে রাইয়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন সাওম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে।
তাদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, সাওম পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।
(বুখারি, হাদিস : ১৮৯৬)
বিশেষ ইবাদতের নামে জান্নাতে বিশেষ দরজা থাকবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে কেউ আল্লাহর পথে জোড়া জোড়া ব্যয় করবে তাকে জান্নাতের দরজা থেকে ডাকা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! এটাই উত্তম। অতএব, যে সালাত আদায়কারী, তাকে সালাতের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ, তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সাওম পালনকারী, রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা রাইয়্যান দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সদকা দানকারী, তাকে সদকা দরজা থেকে ডাকা হবে। এরপর আবু বকর (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কোরবান, সব দরজা থেকে কাউকে ডাকার কোনো প্রয়োজন নেই, তবে কি কাউকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ। আমি আশা করি তুমি তাদের মধ্যে হবে। (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৭)
মহান আল্লাহ আমাদের জান্নাতের বিশেষ দরজা দিয়ে প্রবেশ করার তাওফিক দান করুন।