বাবা মায়ের জন্য ব্যয় করার ফজিলত

বাবা-মা আমাদের দুনিয়ার জীবনের সবচেয়ে আপন ও কাছের মানুষ। যে কোনো মানুষের ওপরই তার বাবা-মায়ের হক সবচেয়ে বেশি। তারা তাকে কঠোর পরিশ্রম করে প্রতিপালন করেন, তার জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেন। কোরআনে আল্লাহ তাআলা নিজের অধিকারের সাথে যুক্ত করে বাবা-মায়ের অধিকারের কথা উল্লেখ করেন। আল্লাহ বলেন, আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবে না এবং বাবা-মায়ের সাথে সদাচরণ করবে। (সুরা ইসরা: ২৩)

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, বলো, ‘এসো, তোমাদের ওপর তোমাদের রব যা হারাম করেছেন, তা তিলাওয়াত করি; তোমরা তার সাথে কোনো কিছুকে শরিক করবে না এবং মা-বাবার প্রতি ইহসান করবে। (সুরা আনআম: ১৫১)

আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলের (সা.) কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো, হে আল্লাহর রাসুল! আমার কাছে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার সবচেয়ে বেশি অধিকার কার? তিনি বললেন তোমার মায়ের, লোকটি বললো তারপর কে? নবিজি (সা.) বললেন, তোমার মা। সে বললো, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বললো, তারপর কে? তিনি বললেন, তারপর তোমার বাবা। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)।

বাবা-মা যদি নিজেদের ব্যয়ভার বহন করতে অসমর্থ্য হন, তাহলে তাদের ব্যয়ভার বহন করা সন্তানের অবশ্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া সব অবস্থায় তাদের হাদিয়া দেওয়া, তাদের জন্য ব্যয় করা সওয়াবের কাজ। কোরআনে আল্লাহ বাবা-মায়ের জন্য ব্যয়কে নেক আমল উল্লেখ করে বলেন, তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তারা কীভাবে ব্যয় করবে? বলো, তোমরা যে সম্পদ ব্যয় করবে তা বাবা-মা, আত্মীয়, এতিম, মিসকিন ও মুসাফিরদের জন্য। আর যে কোনো ভালো কাজ তোমরা করো, নিশ্চয় সে ব্যাপারে আল্লাহ ভালোভাবে অবগত রয়েছেন। (সুরা বাকারা: ২১৫)

Scroll to Top