ফরজ নামাজের পাশাপাশি নবিজি (সা.) ও তার সাহাবিরা নিয়মিত ১২ রাকাত নফল নামাজ পড়তেন। যে নামাজকে আমরা সুন্নাতে মুআক্কাদা বলে থাকি। প্রতিদিন ১২ রাকাত নফল নামাজের ফজিলত বর্ণনা করে রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি দিন ও রাতে বারো রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্যে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে। (সহিহ মুসলিম)
সাধারণ দিনগুলোতে কখন কীভাবে এই ১২ রাকাত নামাজ পড়তে হবে তার বর্ণনা দিয়ে নবিজি (সা.) বলেছেন, চার রাকাত জোহরের ফরজের আগে, দুই রাকাত জোহরের ফজরের পরে, দুই রাকাত মাগরিবের ফজরের পরে, দুই রাকাত ইশার ফরজের পরে আর দুই রাকাত ফজরের ফরজের আগে আদায় করতে হবে। (সুনানে তিরমিজি)
জোহরের জামাতে শরিক হওয়ার জন্য যদি জোহরের আগের চার রাকাত সুন্নতে মুআক্কাদা নামাজ ছুটে যায়, তাহলে জোহরের ফরজের পরও ওই সুন্নত নামাজ আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জোহরের আগে চার রাকাত সুন্নত কখনও না পড়তে পারলে তা জোহরের ফরজ ও পরবর্তী দুরাকাত সুন্নতের পর আদায় করতেন। (সুনানে ইবনে মাজা)