ফেরেস্তারা কিছু সৌভাগ্যবান মানুষের জন্য দোয়া করেন।। তাদের মধ্যে পাঁচজন হলো—
এক. আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পবিত্রাবস্থায় (অজু অবস্থায়) ঘুমায়, তার সঙ্গে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন। এরপর সে ঘুম থেকে জাগার পর আল্লাহর কাছে ফেরেশতা দোয়া করে বলেন—হে আল্লাহ, তোমার অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দাও, কেননা সে পবিত্রাবস্থায় ঘুমিয়েছিল।’ (ইবনে হিব্বান)
দুই. আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যখন অজু অবস্থায় নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকে, সে যেন নামাজেই রত আছে। তার জন্য ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকেন—হে আল্লাহ, তুমি তাকে ক্ষমা করো; হে আল্লাহ, তুমি তাকে অনুগ্রহ করো।’ (মুসলিম)
তিন. আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মাঝে যারা নামাজের পর নিজের স্থানে বসে থাকে, যতক্ষণ তার অজু ভঙ্গ না হবে, ততক্ষণ তাদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকেন—হে আল্লাহ, তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও এবং হে আল্লাহ, তুমি তাদের ওপর দয়া করো।’ (মুসনাদে আহমদ)
চার. সাআদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোরআন খতম যদি রাতের প্রথম ভাগে হয়, তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন।’ (দারেমি)
পাঁচ. আলী (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘কোনো মুসলমান তার অন্য রোগী মুসলমান ভাইকে যদি দেখতে যায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা পাঠান। দিনের যে সময়ে দেখতে যায়, তখন থেকে দিনের শেষ পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন এবং রাতের যে সময়ে দেখতে যায়, তখন থেকে রাতের শেষ পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন।’ (ইবনে হিব্বান)