রাসুলের (সা.) সাধারণ আমল ছিলো রাতের অন্যান্য নামাজের পর সর্বশেষে বিতরের নামাজ পড়া। একাধিক সাহাবি থেকে এ ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে যে, রাতে রাসুল (সা.) সব নামাজের পর বিতর নামাজ পড়তেন। সাহাবিদেরও তিনি নির্দেশ দিতেন বিতরকে রাতের সর্বশেষ নামাজ বানতে।
তবে সহিহ মুসলিমের একটি বর্ণনায় এসেছে যে, রাসুল (সা.) কখনও বিতরের পর বসে দুরাকাত নামাজ পড়েছেন। (সহিহ মুসলিম: ৭৩৮)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী (রহ.) তার রচিত সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যাগ্রন্থে লিখেছেন, বিতরের পর দু’ রাকাত নামাজ নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিয়মিত পড়েননি। হয়তো কখনও তিনি দুরাকাত নফল নামাজ বসে পড়েছেন বিতরের পর নফল নামাজ পড়া জায়েজ আছে এবং বসেও যে নফল নামাজ আদায় করা তা বোঝানোর জন্য। (শরহে মুসলিম লিন-নববী ৬/২১)
সুতরাং রাসুলের (সা.) সব সময়ের আমল ও নির্দেশ অনুযায়ী রাতে সর্বশেষে বিতর নামাজ পড়াই সুন্নত। তবে বিতর আদায় করার পর নফল নামাজ পড়া জায়েজ, নিষিদ্ধ বা মাকরুহ নয়।