কোরআন আর রোজার সম্পর্ক গভীর। মর্যাদাপূর্ণ রাত শবে কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে। এরপর নবুওয়াতের ২৩ বছর ধরে তা নবী করিম (সা.)-এর ওপর নাজিল হতে থাকে। শবে কদর পড়েছে রোজার মাসে। আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের পথ প্রদর্শক ও সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মীমাংসা রূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। আর যে রোগী বা মুসাফির, তাকে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না, যাতে তোমরা নির্ধারিত দিন পূর্ণ করতে পার ও তোমাদেরকে সৎ পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে পার, আর তোমরা কৃতজ্ঞ হলেও হতে পার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)
আল্লাহ পবিত্র রমজানের একটি বিশেষ রাত সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি তো এ কোরআন অবতীর্ণ করেছি এক লাইলাতুল মুবারকে (সৌভাগ্যের রাত্রিতে) আমি তো সতর্ককারী।’ (সুরা দুখান, আয়াত: ৩) আল্লাহ আরও বলেন, ‘আমি এ কোরআন অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদরে (মহিমান্বিত রাত্রিতে)।’ (সুরা কদর, আয়াত: ১, কোরআন শরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন)
নবী করিম (সা.) প্রতিদিন জিবরাইল (আ.)-কে কোরআন পড়ে শোনাতেন। কারও কারও মতে, এ রকম সময়েই জিবরাইল (আ.) তাঁকে জানিয়েছেন কোরআনের কোন আয়াতগুলো কার্যকর থাকবে আর কোনগুলো রহিত হয়ে গেছে।