জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
হিজরি ১৪৪৪ সালের জন্য জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা ও সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করেছে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) সভাকক্ষে রোববার বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
যেভাবে ফিতরা দেয়া যাবে
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, ইসলামি শরিয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের মতো পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা প্রদান করা যায়।
গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে এক সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা প্রদান করতে হবে।
যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৩৯৬ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। এসবের বাইরে পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৬৪০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি বা এর বাজারমূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।