টঙ্গীর তুরাগতীরে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

আগামীকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে দলে দলে মুসল্লিরা টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। এবারও ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার কর্মী তৎপর রয়েছেন। তবে ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি রয়েছে তাদের।

তাবলিগ জামাতের লোকজন এরই মধ্যে প্যান্ডেলে ঠাঁই নিয়েছেন। মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য বিশাল প্যান্ডেলকে খিত্তায় খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। শীত ও নানা কষ্ট উপেক্ষা করে তারা আসছেন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়।

জেলা অনুযায়ী খিত্তায় খিত্তায় ঠাঁই না পেয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন মাঠের পাশে খোলা আকাশের নিচে। তবে মুসল্লিদের আগমন এবার বেড়েছে এবং আগের চেয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়লেও আরও বাড়ানোর দাবি রয়েছে তাদের।

প্রতিবারের মতো এবারও ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে ইজতেমা মাঠকে ঘিরে। করোনার কারণে গত দুই বছর বিশ্ব ইজতেমা হয়নি। দুই বছর পর এবার দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের পর মাঝখানে চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

রেওয়াজ অনুযায়ী, আখেরি মোনাজাত হবে প্রতি পর্বের ইজতেমার শেষ দিনে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই মিলে প্রথম পর্ব আমরা খুব ভালোভাবে শেষ করেছি। দ্বিতীয় পর্বও আমরা ভালোভাবে শেষ করতে চাই। প্রথম পর্বের চেয়ে আমরা আরও বেশি সতর্ক আছি। প্রথম পর্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে আরও বেশি সিকিউরড করা যায়, যাতে সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট আছি। এখানে আমাদের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। ইউনিফর্ম, প্লেইন ক্লথে আছে, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আছে, বিভিন্ন স্পেশালাইজড ইউনিট আছে, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, কুইক রেসপন্স টিম আছে। আমাদের সিসিটিভি মনিটরিং আছে, রুফটপ ডিউটি, ড্রোন ভিউ আছে। সুতরাং সবকিছু মিলিয়ে আমরা মনে করি, আমাদের সিকিউরিটি উত্তরোত্তর ভালো হচ্ছে, সুন্দর হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার যত বাহিনী আছে সব মিলিয়ে বিভিন্ন স্তরে ১০ হাজার সদস্য আমাদের এখানে মোতায়েন আছে। আমরা ওয়েল সিকিউরড ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখানে কোনো রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হবে না বলে আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। কারণ, আমরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছি এই পুরো মাঠটাকে।’

ইজতেমায় আগত বিদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশিদের চারপাশে আমরা একটা নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছি। সেখানে আমদের বেশি বেশি ফোর্স আছে, ইউনিফর্মধারীও আছে, সাদা পোশাকেও আছে। ড্রোন ভিউটা আমরা দেখছি, স্পেশাল কিছু সিসি ক্যামেরা মোতায়েন করেছি। স্পেশালভাবে আমরা বিদেশিদের দেখভাল করি।’