ব্যাট হাতে ২২ গজে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান প্রতিপক্ষ বোলারদের জমের নাম। প্রতিপক্ষ বোলারদের কচুকাটা করে ব্যাট হাতে ক্রিজে রানের ফোয়ারা ছুটাচ্ছেন পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। যার সুবাদে টি-টোয়েন্টিতে তার দখলে শীর্ষ ব্যাটারদের তালিকার প্রথম স্থানটি। কিন্তু যার কারণে এমন পারফরম্যান্স সেই সৃষ্টিকর্তাকে শয়নে, স্বপনে, উঠতে, বসতে সর্বদা স্মরণ করেন রিজওয়ান।
খোদাভীরুতা তার মধ্যে সবসময় পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন মাঠে তাকে খেলা চলাকালীন সময়েও নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। ২০২১ বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ চলাকালীন পানি পানের বিরতিতে তার নামাজ আদায় করার দৃশ্য বেশ সাড়া ফেলে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান দল এখন ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে তারা দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয়লাভ করেছে। সম্প্রতি ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে ২২ গজের এই ভয়ঙ্কর ব্যাটারকে বয়ান দিতে দেখা গেছে। আর তার বয়ানের সেই ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই প্রশংসায় ভাসছেন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা এই ব্যাটার।-জিও নিউজ
সেই প্রকাশিত ভিডিওতে রিজওয়ান বলেন, আমরা নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেট খেলতে এসেছি। আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে এসেছি। আমাদের দায়িত্ব মাঠে শতভাগ দেয়া। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে আমাদের পরকালের জন্য দায়িত্ব রয়েছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে আমাদের সর্বোচ্চ দিতে হবে। এটাই আমাদের সবার আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এক পর্যায়ে সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মসজিদে বসে থাকা বুজুর্গ ব্যক্তি ও মুসল্লিদের।
পাক এ ব্যাটার আরও বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের সুস্থ রেখেছেন এটি আমাদের জন্য নেয়ামত। একটা সময় এই পৃথিবীতে কিছুই ছিল না। এরপর একে একে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তা সৃষ্টি করে সুন্দর এক পৃথিবী গড়ে দিয়েছেন। আমাদেরকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
পাকিস্তানের এই ব্যাটারের বয়ান মনযোগ সহকারে শুনছিলেন মসজিদে থাকা সকল মুসল্লিগণ।
উল্লেখ্য এই ক্রাইস্টচার্চেই ২০১৯ সালে ১৫ মার্চ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ দল ক্রাইস্টার্চে অবস্থানরত অবস্থায় জুমার নামাজের সময় আন নূর নামক একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ৫০ জন মুসল্লী মারা যায়।
মসজিদে যেতে দেরি হওয়ায় সেদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়।