সরকার পবিত্র রমজানে দেশের সব মসজিদে খতম তারাবি পড়ার সময় একই পদ্ধতিতে কোরআন খতমের জন্য মসজিদের ইমাম, কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার এ আহবান জানানো হয়। আগামী ৩ বা ৪ এপ্রিল থেকে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতম তারাবি নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে কর্ম উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের মধ্যে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও বঞ্চিত হন তারা। এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজানের প্রথম ছয়দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করা সম্ভব’ বলে জানায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এতে আরও জানানো হয়, ‘এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতম তারাবি নামাজে প্রথম ছয়দিনে দেড় পারা করে ও পরের ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে কোরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সব মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবার কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।