ইতেকাফের দশকের প্রথম দিন আজ। এ দশকে মুমিন জাহান্নাম থেকে নিজেকে মুক্ত করতে আল্লাহর ইবাদতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করবে। এ দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভই বান্দার অন্যতম কাজ।
আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনে, জান্নাতের গন্তব্যে পরিচালিত হতে, শয়তানের আধিপত্য থেকে মুক্ত থাকতে বেশি বেশি পড়ুন-
اَللَّهُمَّ اجْعَلْ لِىْ فِيْهِ اِلَى مَرْضَاتِكَ دَلِيْلًا، وَ لَا تَجْعَلْ لِلشَّيْطَانِ فِيْهِ عَلَىَّ سَبِيْلًا، وَاجْعَلِ الْجَّنَّةَ لِىْ مَنْزِلًا وَ مَقِيْلًا، يَا قَاضِىَ حَوَائِجِ الطَّالِبِيْنَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাঝআল লি ফিহি ইলা মারদাতিকা দালিলা; ওয়া লা তাঝআল লিশশায়ত্বানি ফিহি আলাইয়্যা সাবিলা; ওয়াঝআলিল জান্নাতা লি মানযিলাওঁ ওয়া মাক্বিলা; ইয়া ক্বাদিয়া হাওয়ায়িঝিত ত্বালিবিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে তোমার সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত কর। আমার ওপর শয়তানদের আধিপত্য বিস্তার করতে দিওনা। জান্নাতকে আমার গন্তব্যে পরিণত কর। হে প্রার্থনাকারীদের অভাব মোচনকারী।
রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি-
আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহর কাছে জান্নাতের নেয়ামত লাভ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির আশায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও আমলের বিকল্প নেই। রোজাদারের জন্য কুরআনের হেদায়েতই সর্বোত্তম নেয়ামত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের দ্বিতীয় দশকে জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং শয়তানের আধিপত্য থেকে মুক্তি লাভে কুরআনের নেয়ামত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।