যাকাত ইসলামের পাঁচটি রোকনের অন্যতম রোকন বা স্তম্ভ। অধিক সওয়াবের আশায় বা বাৎসরিক হিসাব রাখার সুবিধার্থে অনেকেই রমযান মাসে যাকাত আদায় করে থাকেন। যদিও রমযান মাসে যাকাত আদায় করার ব্যাপারে শরীয়তের কোন বিশেষ নির্দেশনা নেই।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা যাকাতের খাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যেই খাতগুলো ব্যতীত অন্য কোথাও যাকাতের অর্থ ব্যয় করা হলে যাকাত আদায় হবে না।
কিন্তু, এ ব্যাপারে জানা না থাকার কারণে দেখা যায়, কোন কোন ব্যক্তি এমন কাউকে যাকাত দেন বা এমন খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করে ফেলেন, যা যাকাতের শরয়ী খাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে তাদের যাকাত অনাদায়ী থেকে যায়। তাই যাকাত দেওয়া যাবে না, এমন খাতগুলোর তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হলো-
১. অমুসলিম, তবে তাদের সদকা বা যেকোনো স্বেচ্ছা দান করা যাবে।
২. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক।
৩. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের নাবালক সন্তান।
৪. বনু হাশেমের লোক।
৫. মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি–একইভাবে যত ওপরের স্তরের দিকের কাউকে যাকাত দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ যাদের মাধ্যমে দুনিয়ায় এসেছেন, তাদেরসহ ওপরের স্তরের কাউকে যাকাত দেওয়া যাবে না।
৬. নিজের মাধ্যমে যারা দুনিয়ায় এসেছে, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে ও তাদের সন্তানাদি, একইভাবে তাদের সন্তানদের যাকাত দেওয়া যাবে না।
৭. স্ত্রী ও স্বামী একে অন্যকে যাকাত দিতে পারবে না।
৮. মসজিদ-মাদরাসা, পুল, রাস্তা, হাসপাতাল বানানোর কাজে ও মৃতের দাফনের কাজে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে না।
তথ্যসূত্র: ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৮৮, ১৮৯; তাতারখানিয়া : ৩/২০৬; আদদুররুল মুখতার :৩/২৯৪, ২৯৫