অসৎ সঙ্গ ত্যাগে যে দোয়া পড়বেন

সৎ সঙ্গ স্বর্গবাস আর অসৎ সঙ্গ সর্বনাশ। এ প্রবাদ বাক্যটি কুরআন ও হাদিস থেকেই এসেছে। ভালো মানুষের সংস্পর্শে মানুষ ভালো কাজের দিকে ধাবিত হয়। আর অসৎ লোকের সংস্পর্শে ভালো মানুষও খারাপ হয়ে যায়। তাই সৎ সঙ্গ লাভের পাশাপাশি অসৎ লোকদের সংস্পর্শ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে আল্লাহর সাহায্যের বিকল্প নেই।

অসৎ সঙ্গ ত্যাগের আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা বেশি বেশি করা জরুরি-
اَللَّهُمَّ وَفِّقْنِي فِيْهِ لِمُوَافِقَةِ الْأَبْرَارِ، وَجَنِّبْنِيْ فِيْهِ مُرَافَقَةَ الْأَشْرَارِ، وَآَوِنِيْ فِيْهِ بِرَحْمَتِكَ إِلَى دَارِ الْقَرَارِ, بِإِلَهِيَّتِكَ يَا إِلَهَ الْعَالَمِيْنَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ওয়াফফিক্বনি ফিহি লি-মুয়াফিক্বাতিল আবরারি, ওয়া ঝান্নিবনি ফিহি মুরাফাক্বাতিল আশরারি, ওয়া আয়িনি ফিহি বিরাহমাতিকা ইলা দারিল ক্বারারি, বি-ইলাহিয়্যাতিকা ইয়া ইলাহাল আলামিন।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে তোমার নেক বান্দাদের সংস্পর্শ লাভের তাওফিক দাও। মন্দ লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব থেকে দূরে রাখো। তোমার প্রভুত্বের (জাতের) শপথ করে বলছি, তোমার রহমতের স্থানে (বেহেশতে) আমাকে জায়গা দাও। হে জগতসমূহের একচ্ছত্র মালিক।’

রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি-

আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।

সুতরাং রমজানের দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জনের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ঈমানদার রোজাদারের চোখের পানির মূল্য অনেক। ঈমানদার যদি আল্লাহর ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জন দিতেই পারে তবে সে পানি মাটিতে পরার আগেই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।

তাই নেক বান্দাদের সংস্পর্শ লাভ এবং অসৎ লোকদের সঙ্গ ছাড়তে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করা জরুরি। তবে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে রহমতের স্থান দান করবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার ভয় অর্জনের মাধ্যমে আত্মিক প্রশান্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Scroll to Top