১০ রমজান, রহমতের শেষ দিন আজ। আল্লাহর ওপর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাসই এ দিনে রহমত লাভে সহায়ক হতে পারে। সে কারণেই আল্লাহর রহমত লাভে আজকের দিনে তার করুণা লাভে তারই প্রতি ভরসা করা জরুরি।
তাইতো সফলতা ও নৈকট্য লাভে তার দরবারে ধরণা দিতে বার বার পড়ি-
اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِيْ فِيْهِ مِنَ الْمُتَوَكِّلِيْنَ عَلَيْكَ، وَاجْعَلْنِيْ فِيْهِ مِنَ الْفَائِزِيْنَ لَدَيْكَ، وَاجْعَلْنِيْ فِيْهِ مِنَ الْمُقَرَّبِيْنَ إلَيْكَ, بِإِحْسَانِكَ يَا غَايَةِ الطَّالِبِيْن
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ঝ্আলনি ফিহি মিনাল মুতাওয়াক্কিলিনা আলাইকা; ওয়াঝআলনি ফিহি মিনাল ফায়িযিনা লাদাইকা; ওয়াঝআলনি ফিহি মিনাল মুক্বাররাবিনা ইলাইকা; বিইহসানিকা ইয়া গায়াতিত ত্বালিবিন।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভূক্ত করো। তোমার অনুগ্রহ লাভের মাধ্যমে আমাকে সফলকামীদের অন্তর্ভূক্ত করো এবং আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নাও। হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ আশ্রয়স্থল।’
রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি-
আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।
সুতরাং এরপরও যদি মানুষ খারাপ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে না পারে, মন্দ কাজের প্রভাবমুক্ত হয়ে ভালো কাজের দিকে অগ্রসর হতে না পারে, তবে এর চেয়ে হতভাগা আর কে হতে পারে?
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার ওপর ভরসা করার এবং তার রহমত ও নৈকট্য লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।